ইরাক

বোমা হামলায় ৩২৩ জনকে হত্যা মামলায় ৩ আইএস জঙ্গির ফাঁসি

এই হামলার মূল হোতা হিসেবে বিবেচিত ঘাজওয়ান আল-জাউবিকে ইরাকের বাইরের অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ২০২১ সালে আটক করা হয়। ছবি: ইরাকের সেনাবাহিনীর টুইটার পেজ থেকে সংগৃহীত
এই হামলার মূল হোতা হিসেবে বিবেচিত ঘাজওয়ান আল-জাউবিকে ইরাকের বাইরের অজ্ঞাত অবস্থান থেকে ২০২১ সালে আটক করা হয়। ছবি: ইরাকের সেনাবাহিনীর টুইটার পেজ থেকে সংগৃহীত

ইরাকে গাড়ি বোমা হামলায় অন্তত ৩২৩ জন ব্যক্তিকে হত্যা ও আরও ১০০ জনকে আহত করার অভিযোগে ৩ অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এই ঘটনাটি ঘটেছিল।

আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।

২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বে ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর এটাই ছিল দেশটিতে সবচেয়ে বড় আকারের বোমা হামলার ঘটনা।

এই হামলায় দায় নেয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। 

প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল-সুদানি'র কার্যালয় থেকে ফাঁসির বিষয়টি জানানো হলেও কাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বা কখন এই দণ্ড কার্যকর করা হয়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে জানানো হয়েছে রবি বা সোমবার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

সরকারের ১ সূত্র এএফপিকে জানিয়েছেন, এই হামলার মূল হোতা হিসেবে বিবেচিত ঘাজওয়ান আল-জাউবি এই ৩ জনের একজন। ২০২১ সালে জাউবিকে আটক করে ইরাকে ফেরত পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামীদের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, 'সন্ত্রাসমূলক বোমা হামলার অপরাধে অভিযুক্ত ৩ মুখ্য অপরাধীর' বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী 'উপযুক্ত শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে'।

এই শপিং মলেই বোমা হামলা চালানো হয়। ছবি: এএফপি
এই শপিং মলেই বোমা হামলা চালানো হয়। ছবি: এএফপি

২০১৬ সালের ৩ জুলাই একটি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাররাদা অঞ্চলের ১ জনবহুল শপিং মলের পাশে বিস্ফোরক উপকরণ ভর্তি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই এলাকাটি মূলত শিয়া অধ্যুষিত। 

রমজান মাসে ইফতারের পর আসন্ন ঈদের জন্য কেনাকাটা করছিলেন শপিং মলে আগত ব্যক্তিরা। উৎসবমুখর পরিবেশের আনন্দ মুছে যায় বিস্ফোরণের দমকে।

বোমা বিস্ফোরণের পর ভবনে আগুন ধরে যায়। নিহতদের অনেকেই এই আগুনে পুড়ে মারা যান।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ ঘাব্বান এ ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাধিমি জাউবিকে এই হামলার পেছনে 'মূল হোতা' হিসেবে অভিহিত করেন এবং জানান, তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে 'আরও অনেকে' রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago