তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

মৃত্যু ৯৫০০ ছাড়াল

বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে।
তুরস্কের দিয়ারবাকিরে অবস্থিত ঐতিহাসিক উলু মসজিদে ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা আশ্রয় নিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের দিয়ারবাকিরে অবস্থিত ঐতিহাসিক উলু মসজিদে ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা আশ্রয় নিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। 

আনুষ্ঠানিক সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৫৭ এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৫৪৭, যার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫০৪। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হচ্ছে। তুরস্কে প্রায় ৬ হাজার ভবন ধসে পড়েছে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

বিশ্লেষকদের মতে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া স্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষের মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে হাজারো শিশুর মৃত্যু হতে পারে এই ভূমিকম্পে।

জীবিত উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা
তুরস্কের হাতায়ে ভূমিকম্পের পর একটি ধসে পড়া মসজিদের কাছে পুতুল পড়ে আছে। ছবি: রয়টার্স

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকে পড়া ব্যক্তিদের আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন। তাদের আশা, স্বজনদের হয়তো জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু, তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে উঠেছে। গৃহহীনদের দুর্দশা বেড়েছে। এছাড়া, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নেই। ফলে, উদ্ধারকারীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

সিরিয়ার হামা শহরের আবদুল্লাহ আল দাহন রয়টার্সকে বলেন, 'মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি পরিবারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব দিকেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য। আমাদের সঙ্গে অনেক কিছু ঘটেছে, কিন্তু এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনো দেখিনি।'

সিরিয়ায় যেসব পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, 'এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে উদ্ধারকারীদের লড়াই। একটি মিনিট, একটি ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়া মানে জীবিতদের খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া।'

 

Comments