ইউক্রেনের হামলায় ৪০০ নয় ৬৩ সেনা নিহত, দাবি মস্কোর

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার দখলে থাকা দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে, মস্কো বলছে, ইউক্রেনের হামলায় ৬৩ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাকিভকা শহরের একটি ভবনে এই হামলা চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে ওই ভবনে রুশ বাহিনী অবস্থান নিয়েছিল। অন্যদিকে রুশ বাহিনী রোববার রাতে কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়েছে।

আজ এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের অবস্থান নেওয়া একটি ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের হিমারস রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ৬টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। এসব রকেটের দুটিকে গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে।

দোনেৎস্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দানিল বেজসোনভ এর আগে বলেছিলেন, নতুন বছরের দিন মধ্যরাতের ২ মিনিট পর মাকিভকাকে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করে। সেখানে নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে।

যদিও রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু, বেশ কয়েকজন রাশিয়ান ব্লগার এই হামলার কথা স্বীকার করেছেন। হতাহতের সংখ্যা ইউক্রেনের দাবির চেয়ে কম বলে তারা জানিয়েছেন।

রুশ উপস্থাপক ভ্লাদিমির সোলোভভ একটি টেলিগ্রাম শেয়ার করে বলেন, বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, তা ৪০০ এর কাছাকাছিও নয়।

রুশপন্থী ব্লগার ইগর গিরকিন বলেন, ইউক্রেনের হামলায় শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। কারণ, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ আছেন। ভবনটি 'প্রায় ধ্বংস' হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতরা মূলত জড়ো হওয়া সেনা ছিলেন। একই ভবনে গোলাবারুদ মজুদ করা হয়েছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বেশি হয়েছে।

গিরকিন একজন সুপরিচিত সামরিক ব্লগার। তিনি ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনের একটি বড় অংশ দখলের সময় রাশিয়ান-সমর্থিতদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মতে, আনুমানিক ৪০০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৩০০ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, প্রায় প্রতিদিনই হামলায় কয়েক ডজন, কখনো কখনো শত শত সেনা নিহত হচ্ছেন। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার।

বিবিসি বলছে, যদি এই দাবি নিশ্চিত হয়। তাহলে এই যুদ্ধে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ইউক্রেনের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এটি।

তবে, হামলায় কোন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য জানায়নি ইউক্রেন।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago