ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

এবার ইউক্রেনে রুশ গুপ্তচর বেলুন ভূপাতিত

কিয়েভে বেলুন পাঠানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা প্রায় ১ বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা প্রায় ১ বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আকাশেও দেখা দিয়েছে 'গুপ্তচর বেলুন'। তবে এগুলো চীনের নয়, রাশিয়ার বেলুন।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের বরাত দিয়ে গতকাল বুধবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, কিয়েভের আকাশে অন্তত ৬টি রুশ নজরদারি বেলুন দেখা গেছে।

বেলুনগুলোতে খুব সম্ভবত প্রতিফলক যন্ত্র ও অন্যান্য নজরদারি যন্ত্র রাখা ছিল। তবে ঠিক কখন এই বেলুনগুলো দেখা গেছে, সে সময়টি সুনির্দিষ্ট করে জানাননি কর্মকর্তারা।

বুধবার দিনভর ইউক্রেনের রাজধানীতে উড়োজাহাজ হামলার সতর্কতাসূচক সাইরেন বাজতে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় সামরিক প্রশাসন জানায়, 'আমাদের হাতে যা তথ্য আছে, সে অনুযায়ী এ বেলুনগুলো বাতাসের ধাক্কায় সামনে এগোতে পারে। খুব সম্ভবত আমাদের উড়োজাহাজ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনাক্ত করা ও একে ব্যতিব্যস্ত রাখার জন্য এসব বেলুন পাঠানো হয়েছে'। 

এই ঘোষণা দেওয়ার অল্প সময় আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত জানান, রাশিয়া তাদের ড্রোনের মজুত বাঁচিয়ে রাখতে নজরদারি বেলুন ব্যবহার করতে পারে।

টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, 'রাশিয়া ওরলান-১০ এর মতো নজরদারি ড্রোনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়েছে। হয়তো তারা ভেবেছে, বেলুন ব্যবহার করলে কেমন হয়? এ ভাবনা থেকেই তারা বেলুন পাঠাচ্ছে'।

ইহনাত নিশ্চিত করেন, রুশ বেলুনের কারণেই উড়োজাহাজ হামলার সতর্কতা সূচক সাইরেন বাজানো হয়েছিল।

কিয়েভে বেলুন পাঠানোর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া কোনো মন্তব্য করেনি।

ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) এক প্রতিবেদন মতে, প্রায় ১ বছর আগে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়া তাদের মোট মজুতের অর্ধেক ট্যাংক ইতোমধ্যে হারিয়েছে।

তবে এই গবেষণা সংস্থা বুধবার জানায়, রুশ বিমানবাহিনী অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। খুব সম্ভবত যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে এর কার্যকর ব্যবহার দেখা যাবে।

 

Comments