ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন ধ্বংসের পর বিস্ফোরণ। ছবি: রয়টার্স
কিয়েভের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন ধ্বংসের পর বিস্ফোরণ। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, লিভিভ ও ঝাপোরিঝঝিয়ায় রাতভর আকাশ পথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাতে দেশটির বেশিরভাগ এলাকায় আকাশ পথে হামলার বিষয়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়।

আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল চিফ অব স্টাফ সের্হেই সাপতালা জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ইউক্রেনের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৮টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

এ ছাড়া রাশিয়া এই হামলায় ইরানে নির্মিত ৩০টি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে বলেও জানান তিনি।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পোপকো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানান, কিয়েভের আকাশসীমায় শত্রু পক্ষের ২০টি লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত ও ধ্বংস করা হয়েছে। 

পোপকো বলেন, 'এটা ছিল আমাদের রাজধানীর ওপর আকাশ পথে আরেকটি বড় হামলা।'

পোল্যান্ডের সীমান্ত থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে, ৭ লাখ মানুষ অধ্যুষিত লিভিভ শহরের একটি 'গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে' রাশিয়া হামলা চালালে এতে আগুন ধরে যায়।

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি দালানে আগুন ধরে যায়। ছবি: রয়টার্স
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি দালানে আগুন ধরে যায়। ছবি: রয়টার্স

তবে প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঝাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ইউরি মালাশকো টেলিগ্রামে জানান, রুশ হামলার লক্ষ্য ছিল টেলিযোগাযোগ অবকাঠামা এবং চাষ ও খামারের জন্য ব্যবহৃত ভূখণ্ড ও অবকাঠামো।

ঝাপোরিঝঝিয়াতেও কোনো হতাহতের কথা জানা যায়নি।

ইউক্রেনের শীর্ষ সামরিক কমাণ্ড জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঝাপোরিঝঝিয়ায় ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।

যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদন রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি। এ ছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago