সুখোই এসইউ-৩৪ থেকে রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তাস জানায়, ‘এসইউ-৩৪ বোমারু বিমানের মাধ্যমে পরিচালিত একটি বিশেষ সামরিক অভিযানে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ব্যবহার হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি উদ্যোগ সাফল্যের সঙ্গে শেষ করায় ক্রুদের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হবে।’
রুশ সুখোই এসইউ ৩৪ বোমারু বিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রুশ সুখোই এসইউ ৩৪ বোমারু বিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার মাল্টিপারপাস সুখোই এসইউ-৩৪ বোমারু বিমান একটি বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে প্রথমবারের মতো বোমারু বিমান থেকে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে রাশিয়া।

আজ সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এই তথ্য জানিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তাস জানায়, 'এসইউ-৩৪ বোমারু বিমানের মাধ্যমে পরিচালিত একটি বিশেষ সামরিক অভিযানে কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ব্যবহার হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি উদ্যোগ সাফল্যের সঙ্গে শেষ করায় ক্রুদের রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হবে।'

কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছে যুদ্ধবিমান। ছবি: রুশ বিমানবাহিনী
কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র বহন করছে যুদ্ধবিমান। ছবি: রুশ বিমানবাহিনী

কিনঝাল হচ্ছে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিসটিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যেখানে  অত্যাধুনিক রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সাধারণত মিগ-৩১ কে যুদ্ধবিমানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত রাডার ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম এবং এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পথে একাধিকবার গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। এটি মূলত স্থল ও নৌ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

রুশ সুখোই এসইউ ৩৪ বোমারু বিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রুশ সুখোই এসইউ ৩৪ বোমারু বিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০১৭ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রুশ সামরিক বাহিনীতে কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার করা হচ্ছে। রুশ সেনাবাহিনী চলমান বিশেষ সামরিক অভিযানে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে। দিনটি ছিল ২০২২ সালের ১৮ মার্চ।

তবে সেবার বোমারু বিমান থেকে নয়, বরং অজ্ঞাত অবস্থান থেকে বা উড়োজাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা ৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের একটি প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে কিয়েভের একটি গোলাবারুদের ডিপো ধ্বংস করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago