পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার মধ্যেই চলছে রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

২০২৪ সালের রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি মোবাইল ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। ছবি: রয়টার্স
২০২৪ সালের রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটি মোবাইল ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। ছবি: রয়টার্স

গতকাল রাতভর রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দিনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

চলতি সপ্তাহে রুশ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই বছরের সংঘাতে সবচেয়ে বড় মাত্রার ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়েছে কিয়েভ।

আজ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেলগোরোদের সীমান্ত অঞ্চল ও মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমের কালুগা অঞ্চলে ড্রোন ও রকেট ভূপাতিত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোট পাঁচটি ড্রোন ও দুইটি রকেট ভূপাতিত করা হয়েছে।

পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া আটটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা বেজে ১৫ মিনিট) বেলগোরোদের আকাশে ইউক্রেন থেকে আসা আরও সাতটি রকেটকে ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম রিয়া নোভোস্তি জানায়, কর্তৃপক্ষ আকাশ হামলার সতর্কতা জারি করে এবং মানুষকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ সময় বেলগোরোদ শহরে কয়েকজন ভোটার ভোটকেন্দ্র ছেড়ে বোমা শেল্টারে আশ্রয় নেন।

ইরানে নির্মিত শাহেদ ড্রোন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইরানে নির্মিত শাহেদ ড্রোন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

এ ছাড়া, রাশিয়ার লিপেৎস্ক অঞ্চলের গভর্নর জানান, শুক্রবার এই জেলায় ইউক্রেন থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে আকাশে দুইটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

অপরদিকে, ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ইরানে নির্মিত ২৭টি ড্রোন ও আটটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাতভর হামলা চালিয়েছে।

বিমানবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে জানায়, '২৭টি ড্রোনই ধ্বংস করা হয়েছে।'

রাশিয়ার ১১টি টাইম জোনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন। দেশের জন্য 'ঝামেলাপূর্ণ সময়' হওয়া সত্ত্বেও তিনি সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

সংশ্লিষ্টদের মতে, এই নির্বাচনে খুব সহজেই জয়ী হয়ে আরও ছয় বছরের জন্য রাশিয়ার শাসনভার গ্রহণ করবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingyas hurt in clash in Teknaf

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago