রুশদির ওপর হামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার ইরানের
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় আমরা মনে করি না যে তিনি নিজে এবং তার সমর্থকরা ছাড়া অন্য কাউকে দায়ী করা যায়। এ বিষয়ে ইরানকে অভিযুক্ত করার অধিকার কারও নেই।'
রুশদির ওপর হামলার পর এটাই ইরান সরকারের কাছ থেকে আসা প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য।
'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাসটি লেখার পর বহু বছর ধরে প্রাণনাশের হুমকি পেলেও শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি মঞ্চে হামলার শিকার হন রুশদি। গত শুক্রবার তার ওপর আক্রমণ করা হয়।
হামলার পর হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' খ্যাত সালমান রুশদি। পরবর্তীতে তার ভেন্টিলেটর সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
গতকাল সালমান রুশদির কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছেন, তিনি 'সুস্থতার পথে আছেন।'
সন্দেহভাজন হামলাকারী ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতারের আইনজীবী তাকে এ ঘটনায় নির্দোষ দাবি করেছেন। পশ্চিম নিউইয়র্কের এক আদালতে শুনানির সময় তিনি এই দাবি করেন।
হাদি মাতারের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। একজন কৌসুলি এই ঘটনাকে 'পূর্বপরিকল্পিত' অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
হাদি মাতারের পিতা মাতার আদি নিবাস ইসরায়েলের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারৌন গ্রাম। ইয়ারৌনের মেয়র এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
কানানি তার বক্তব্যে আরও জানান, 'এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে যা বলা হয়েছে, তার চেয়ে বাড়তি কোন তথ্য ইরানের কাছে নেই।'
ইতোমধ্যে সালমান রুশদির ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে টুইট করায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে হ্যারি পটারের লেখক জে কে রাউলিংকে।
তবে রোববার টুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুমকি দেওয়া টুইট মির আসিফ আজিজ নামের অ্যাকাউন্টটি পাকিস্তানি নাগরিকদের বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুশদির আক্রমণকারীর প্রশংসা করে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
Comments