চলে গেলেন নুরেমবার্গ ট্রায়ালের বিচারক বেন ফেরেনকজ

১৯৪৭ সালে নুরেমবার্গ ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার সময় বেঞ্জামিন ফেরেনকজের বয়স মাত্র ২৭ ছিল। ছবি: ডয়েচে ভেলে
১৯৪৭ সালে নুরেমবার্গ ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার সময় বেঞ্জামিন ফেরেনকজের বয়স মাত্র ২৭ ছিল। ছবি: ডয়েচে ভেলে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি বাহিনীর শীর্ষ অপরাধীদের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত 'নুরেমবার্গ ট্রায়ালের' অন্যতম এবং সর্বশেষ জীবিত বিচারক বেঞ্জামিন ফেরেনকজ (১০৩) মারা গেছেন।

গতকাল শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী ফেরেনকজ অসংখ্য জার্মান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করেন, যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডেথ-স্কোয়াডের নেতৃত্বে ছিলেন। ফেরেনকজের মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।  

১৯৪৭ সালে নুরেমবার্গ ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার সময় তার বয়স মাত্র ২৭ ছিল। অভিযুক্ত নাৎসি কর্মকর্তাদের মাঝে ছিলেন হেরমান গোরিং। তার বিরুদ্ধে আনিত যুদ্ধাপরাধের তালিকায় ছিল হলোকস্ট নামে পরিচিত গণহত্যায় অংশ নেওয়া। হলোকস্টে ৬০ লাখ ইহুদী ধর্মাবলম্বী মানুষ ও আরও লাখো মানুষকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হত্যা করা হয়।

ফেরেনকজ বেশ কয়েক দশক একটি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গঠনের জন্য আন্দোলন করেন। পরবর্তীতে এ আদালত গঠিত হয়, যার সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত।

‘নুরেমবার্গ ট্রায়ালের’ অন্যতম এবং সর্বশেষ জীবিত বিচারক বেঞ্জামিন ফেরেনকজ (১০৩) মারা গেছেন। ছবি: এএফপি
‘নুরেমবার্গ ট্রায়ালের’ অন্যতম এবং সর্বশেষ জীবিত বিচারক বেঞ্জামিন ফেরেনকজ (১০৩) মারা গেছেন। ছবি: এএফপি

১৯২০ সালে রোমানিয়ার ট্র্যানসিলভানিয়ায় বেন ফেরেনকজ জন্ম নেন। তার ১০ মাস বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন। তিনি নিউ ইয়র্কের দারিদ্র্য পীড়িত লোকালয় "হেল'স কিচেনে" বেড়ে ওঠেন। ১৯৪৩ সালে হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়ে ইউরোপে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। এরপর তিনি সদ্য চালু হওয়া যুদ্ধাপরাধ বিভাগে যোগ দেন।

২০১৮ সালে বার অ্যাসোসিয়েশনকে ফেরেনকজ বলেন, 'আমি আমার সারা জীবন যুদ্ধকে প্রতিরোধ করার জন্য উৎসর্গ করেছি, কারণ, আমার ধারণা আছে যে পরবর্তী যুদ্ধটি এর আগের যুদ্ধের তুলনায় বালখিল্য হিসেবে আবির্ভূত হবে'।

তিনি আরও জানান, 'আইন, যুদ্ধ নয়, এটাই আমার জীবনের মন্ত্র এবং আশাবাদ'। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

5h ago