মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার
বিএনপির জন্য একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, উদ্ভাবনী ভাবনাসম্পন্ন ও ভবিষ্যতমুখী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের হতে হবে জনআকাঙ্ক্ষা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নতুন প্রত্যাশা ও একবিংশ শতকের...
সংস্কার জরুরি হলেও সেটাকে নির্বাচন বিলম্বের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা উচিত না। সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনি নির্বাচিত সরকারও জরুরি।
সশস্ত্র বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বা সেনাপ্রধান ক্ষমতা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন—এই অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এমনকি এ ধরনের তথ্য বা দূরবর্তী ইঙ্গিতও নেই।
দলের চেয়ে নেতা বড়, দেশের চেয়ে দল বড়—এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
ঠিক যেভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে কাউকে হত্যা করানো হয়, সেভাবেই ‘শিকারি সাংবাদিক’ ভাড়া করা হয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চরিত্র হননের জন্য।
গণমাধ্যম এখন নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এর ফলে মিথ্যাচার, অর্ধ-সত্য ও বিকৃত তথ্যে সাধারণ পাঠক বিভ্রান্ত ও প্রতারিত হচ্ছেন।
আমরা যেমন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব বুঝি এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলোকে কার্যকর দেখতে চাই, তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা এসব সংস্থার যে অপব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি, সেগুলো...
জনগণ চায় সংস্কারের এই সুবর্ণ সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। তবে দেশের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কেও সচেতন এবং তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও আইনি পরিবেশ।
মানবাধিকার, শিশু অধিকার, নারীর অধিকার এবং সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন—যেগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের পর ধীরে ধীরে গত কয়েক দশক ধরে তৈরি করা হয়েছে, তার সবই আজ প্রশ্নবিদ্ধ এবং ইসরায়েলের...
একটি বিরোধী দল বিহীন সংসদের যে বিপদগুলো রয়েছে, সে বিষয়ে কি নতুন সরকার সচেতন হবে?
এত বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে টিআইবির সমালোচনা ও চরিত্রহনন করে কোনো ক্ষমতাসীন সরকার কি একটুও উপকৃত হয়েছে? তারা যদি টিআইবির প্রতিবেদনগুলো আরও ভালো করে যাচাই-বাছাই করত, তাহলে কি আরও উপকৃত হতে পারত না?
এই মুহূর্তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর হয়ে তিনি প্রকৃতপক্ষেই হয়ে উঠতে পারেন সেই লৌহমানবী, যাকে আমাদের প্রয়োজন।
নিরঙ্কুশ বিজয়ে পথ যতটা সহজ হবে বলে মনে হয়, বাস্তবে ততটা নাও হতে পারে। বিজয় স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল ও আলোকদীপ্ত, কিন্তু নিরঙ্কুশ বিজয় অনিবার্যভাবেই অন্ধকারও নিয়ে আসতে পারে।
আমরা চাই বিশ্ব আমাদের সম্মান করুক। কিন্তু বিশ্ব যাকে সম্মান দেখায়, তাকে আমরা অসম্মান করি।
যদি গণমাধ্যমকে দায়িত্বহীনতার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে অভিযোগকারীকে অবশ্যই তথ্যভিত্তিক সত্য উপস্থাপন করতে হবে।
আজকের দিনে বিএনপি শুধু হরতালের ডাক দিচ্ছে, যা কেউ মানছে না; অবরোধের ডাক দিচ্ছে, যা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না; গণবিক্ষোভের ডাক দিচ্ছে, যা কেবলই ফাঁকা বুলি।
বহির্বিশ্বের কাছে আমরা আমাদের আইনি ব্যবস্থার কোন ধরনের ভাবমূর্তি তুলে ধরছি?
আমরা কি এমন এক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, যেখানে সভ্যতার মূল্যবোধ নয়, বরং বন্দুকের নলই সবকিছু নির্ধারণ করবে?