মাহফুজ আনাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার
আমরা অনেকবার শিক্ষা কমিশন গঠন করেছি, বহুবার পাঠ্যক্রম সংশোধন করেছি, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি—কিন্তু তারপরও জাতিকে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা দিতে ব্যর্থ হয়েছি, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত...
উত্তাল সাগরে চলমান জাহাজের হাল ছেড়ে যেতে পারেন না একজন ক্যাপ্টেন
সম্প্রতি কি বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যার কারণে আমাদের এই বিশ্বাস জোরদার হবে যে, আমরা গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছি?
বিএনপির জন্য একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, উদ্ভাবনী ভাবনাসম্পন্ন ও ভবিষ্যতমুখী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের হতে হবে জনআকাঙ্ক্ষা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নতুন প্রত্যাশা ও একবিংশ শতকের...
সংস্কার জরুরি হলেও সেটাকে নির্বাচন বিলম্বের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা উচিত না। সংস্কার যেমন জরুরি, তেমনি নির্বাচিত সরকারও জরুরি।
সশস্ত্র বাহিনী ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বা সেনাপ্রধান ক্ষমতা গ্রহণের পরিকল্পনা করছেন—এই অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এমনকি এ ধরনের তথ্য বা দূরবর্তী ইঙ্গিতও নেই।
দলের চেয়ে নেতা বড়, দেশের চেয়ে দল বড়—এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে
ঠিক যেভাবে ভাড়াটে খুনি দিয়ে কাউকে হত্যা করানো হয়, সেভাবেই ‘শিকারি সাংবাদিক’ ভাড়া করা হয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চরিত্র হননের জন্য।
আজকের দিনে বিএনপি শুধু হরতালের ডাক দিচ্ছে, যা কেউ মানছে না; অবরোধের ডাক দিচ্ছে, যা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না; গণবিক্ষোভের ডাক দিচ্ছে, যা কেবলই ফাঁকা বুলি।
বহির্বিশ্বের কাছে আমরা আমাদের আইনি ব্যবস্থার কোন ধরনের ভাবমূর্তি তুলে ধরছি?
আমরা কি এমন এক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, যেখানে সভ্যতার মূল্যবোধ নয়, বরং বন্দুকের নলই সবকিছু নির্ধারণ করবে?
‘কী হতে যাচ্ছে’ সে সম্পর্কে কোনো প্রকার ধারণা না থাকায় দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে যে ধরনের আশা-উদ্দীপনার প্রয়োজন, তা আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মানুষগুলোর স্বার্থরক্ষা ও মুক্ত গণমাধ্যমবিরোধী আইনের কলেবর বাড়তে থাকায় আইনের মোড়কে হেনস্তার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা এখন এক ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। তারপরও আমরা দ্য ডেইলি স্টারে...
এই সংঘাত একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সংগঠনের। যখন একটি ‘রাষ্ট্র’ জ্ঞাতসারে নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু, তাদের দায়টাই কি বেশি নয়?
বিশ্ব যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে প্রবেশ করছে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সম্ভাব্য নানামুখী ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে, তখন আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ঝগড়া করে চলেছি।
আমাদের অবচেতন মন ইদি আমিনের সেই বিখ্যাত বাণীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তার দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘বাকস্বাধীনতা অবশ্যই আছে, তবে বলার পর স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারব না।’
'সমর্থন পেলে পুরো গণমাধ্যম প্রকৃত সত্য প্রকাশ করতে পারে, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনার এই লড়াইয়ে সহায়তা করবে—যা আমাদেরও লড়াই, এই জাতির লড়াই।'
আবারো সাংবাদিকদের ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে অংশীজনদের না জানিয়েই