নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে 'বাংলার সমৃদ্ধি'র ক্যাপ্টেন বললেন, নতুন জীবন পেয়েছি
বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ জন নাবিককে ইউক্রেনে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা সরকারি মালিকানাধীন জাহাজটিতে বুধবার রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন।
জাহাজ থেকে নেমে আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পর জাহাজটির ক্যাপ্টেন জিএম নূর-এ আলম টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ! নতুন জীবন পেয়েছি।'
'আমরা এখনো বিপদমুক্ত নই। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বিশ্বাস করতে পারছি না যে এখনো বেঁচে আছি। সীমান্ত পার হতে পারলে নিরাপদ বোধ করব।'
জাহাজের ২৮ নাবিক নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছালেও হাদিসুরের মৃত্যুর শোক তারা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। জাহাজের ক্যাপ্টেনের ভাষায়, 'হাদিসুর ভাইয়ের লাশ বহন করা আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক। তার লাশ আমরা জাহাজে রেখে আসিনি।'
জাহাজের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে নূর-এ আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি এই অবস্থায় আনা কঠিন হবে। বিস্ফোরণে জাহাজের জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি।
বাংলার সমৃদ্ধির প্রধান প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, 'আমরা ভীষণ ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। একটা আশ্রয়স্থলে নিরাপদে আসতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে। দোয়া করবেন যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারি। শুধু দোয়া করবেন, আর কিছু না।'
এদিকে, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজকে 'পরিত্যক্ত' ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। বিএসসির নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্যিক) পীযূষ দত্ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পীযূষ দত্ত বলেন, 'জাহাজটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ইউক্রেনের বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জাহাজের স্থানীয় এজেন্টের সাহায্যে নিহত নাবিকের মরদেহসহ ২৮ জন নাবিককে একটি টাগবোটের সাহায্যে তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
Comments