আরও এক রুশ জাহাজে রকেট হামলার দাবি ইউক্রেনের

মাক্সারের স্যাটেলাইট ইমেজে স্নেক আইল্যান্ডের কাছে ১টি রুশ জাহাজ দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স

রুশ নৌবাহিনীর একটি পণ্যবাহী লজিস্টিকস জাহাজে হামলা চালিয়ে সেটির ক্ষতিসাধনের দাবি করেছে ইউক্রেন।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, কৃষ্ণ সাগরে ছোট অথচ কৌশলগত স্নেক আইল্যান্ডে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় বাহিনী এ হামলা চালায়।

ইউক্রেনের কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কৃষ্ণ সাগরের পশ্চিম তীর দখল নেওয়ার জন্য স্নেক আইল্যান্ডের কাছের এলাকাগুলোয় আগামী কয়েকদিনে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে পারে। রুশ বাহিনী নির্বিঘ্নে ইউক্রেনের উত্তর ও পূর্বদিকে অগ্রসর হতে চাইলে এ অঞ্চলের দখল নেওয়া খুবই জরুরি।

ওডেসার আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহেই ব্রাতচুক গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের নৌবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ। তারা রুশ লজিস্টিক সাপোর্ট জাহাজ ভেভলড ববরভে আগুন লাগাতে পেরেছে। এটি রুশ নৌবহরের সবচেয়ে নতুন জাহাজগুলোর একটি।'

রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন বেসরকারি স্যাটেলাইট ইমেজ প্রতিষ্ঠান মাক্সারের ছবিতে দেখা গেছে, রোমানিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সমুদ্রসীমায় স্নেক আইল্যান্ডের কাছে রুশদের একটি জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। ছবিতে দ্বীপের কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত দালানের দৃশ্যও দেখা গেছে।

মাক্সারের স্যাটেলাইট ইমেজে স্নেক আইল্যান্ডে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দালান দেখা গেছে। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের দাবি, তারা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে রুশ বাহিনীকে সরে যেতে বাধ্য করেছে। প্রায় এক মাস আগে রুশ বাহিনীকে কিয়েভ থেকেও সরে যেতে হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, খারকিভের প্রায় ৪০ কিলোমিটার পূর্ব থেকে শুরু করে সিভেরস্কি দনেৎস্ক নদীর তীরবর্তী পুরো এলাকা এখন ইউক্রেনের দখলে আছে।

স্থানীয় প্রশাসনের খবর অনুসারে, খারকিভের কাছাকাছি পোলতাভা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও দারগাছে কামানের গোলায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Gaza civil defence says Israeli forces kill 23

Among the casualties were three children who were killed in an air strike on a home in Jabalia, northern Gaza

11m ago