প্রবাসী আয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ সপ্তম: বিশ্বব্যাংক

প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে ২০২১ সালে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।

গত মঙ্গলবার প্রকাশিত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রবাসী আয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের 'অভিবাসন ও উন্নয়ন' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে শীর্ষ ছয়ে থাকা দেশগুলো হলো-ভারত, মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন, মিশর ও পাকিস্তান।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রবাসী আয়ে মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ (২২ বিলিয়ন ডলার) প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এতে আরও বলা হয়, মূলত সরকারি প্রণোদনা এবং দেশে পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানোর কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

গত রোজার শুরুতে (মার্চ মাসে) ২৪ শতাংশ উল্লম্ফন ছাড়া গত ৮ মাসে দেশে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এ বছরের শেষ নাগাদ প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধির হার কমে ২ শতাংশে নামবে।

২০২০ সালে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ার পর ২০২১ সালে ভারতের রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ বিলিয়ন ডলার হয়, অন্যদিকে পাকিস্তানে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন হয়েছে।

প্রতিবেদনে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনিশ্চিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতে ২০২২ সালে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে পাকিস্তানে এ বছর রেমিট্যান্স ৮ শতাংশ বেড়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির হারকে 'অনিশ্চিত' বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার হামলার শিকার ইউক্রেনে হঠাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়ে গেছে। চলতি বছর ইউক্রেনে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ২০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

1h ago