ডিসেম্বরের মধ্যে বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু: চীনা রাষ্ট্রদূত

বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
নির্মাণাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে ১২২৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এ কথা জানান।

ইতোমধ্যেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় ৯০ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা।

চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হবে।

লি জিমিং বলেন, 'এই পাওয়ার প্ল্যান্টে আমি প্রথমবার এলাম। চীনা কর্মী ও চীনা সংস্থার সহায়তায় এই ধরণের প্রচুর পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। এটির কাজ খুব শিগগির শেষ হতে যাচ্ছে। আমি পায়রাতে গিয়েছি। সেটাও একই আকারের।'

২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি এস আলম গ্রুপের ৬টি প্রতিষ্ঠান (ইকুইটির ৭০ শতাংশ), চীনের এসইপিসিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন, এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটি উচ্চ প্রযুক্তির প্রযুক্তি, একে সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তি বলা হয়। আমি যেটা জানি সেটা হলো এখান থেকে শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে এবং অন্য কোনো দূষণের কিছু নেই।'

'আমি নিশ্চিত যে চট্টগ্রামবাসীর জন্য মেট্রোরেল খুব সহায়ক হবে। আমি আশা করি আমরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পে অবদান রাখতে পারব। আমি নিশ্চিত যে সরকার একটি নির্দিষ্ট প্ল্যান্টের অনুমোদন দিলে আরও দ্রুত তা করতে পারব।'

Comments