ছাত্ররাজনীতি পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স/ ছবি মোহাম্মদ আবু সাঈদ

ওয়াকিল আহমেদ একজন লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। অবসরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন অবিরাম। বিভিন্ন বিষয়ে তার বই রয়েছে অর্ধশতাধিক। সাহিত্য গবেষণা কীর্তির জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক। ১৯৪১ সালের ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার আজাদনগরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার গবেষণা, শিক্ষা সমাজ ভাবনাসহ সাম্প্রতিক বিষয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে। 

কীভাবে সময় কাটে? কোন পাঠক দেখা করতে আসেন?

ওয়াকিল আহমদ: ১১ বছর আগে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করলেও অবসরজীবনের পূর্ণস্বাদ উপভোগ করি নি। পড়াশোনা ও লেখালেখি নিয়ে বেশির ভাগ সময় যায়। অধ্যাপনা ছিল পেশা, গবেষণা ছিল নেশা।  নেশাটা এখনও যায় নি;  বরং আরও পেয়ে বসেছে।

করোনার কারণে বাইরের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ কমই হয়েছে। কেউ আসতে চাইলেও নিষেধ করেছি; এখন করি না। সাধারণত অনুরাগী ছাত্র, পাঠক ও গবেষক বাসায় অথবা ফোনে কুশল জানতে চায়। আমার বই পড়ে অনেকেই কৌতূহল প্রকাশ করেন; যারা গবেষণা করেন, তারা পরামর্শ চাইলে ভালো লাগে।

আপনাদের মতো অভিজ্ঞদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব দরকার। অন্য সরকারি চাকরির মতো একজন অধ্যাপককে কেন অবসর নিতে হয়? বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্র কী? 

ওয়াকিল আহমদ: ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিজ্ঞ অধ্যাপকগণ নিজেরা অবসর নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সুযোগ পান। কারণ অধ্যাপনা এমন একটি পেশা, যত অভিজ্ঞতা বাড়ে, ততই জ্ঞানের গভীরতা  ও বিস্তৃতি বাড়ে। একজন প্রৌঢ় ও অভিজ্ঞ অধ্যাপক উচ্চশিক্ষার ও উচ্চগবেষণার ক্ষেত্রে অধিক অবদান রাখতে পারেন। আমাদের দেশে এর উল্টো ব্যবস্থা। তাদের কার্যকাল শেষ, অধ্যাপনাও শেষ। ব্যাপারটা এই যে, তিনি গেলে একটি পদ খালি হবে; পরের জন প্রমোশন পাবেন। এমিরিটাস অধ্যাপক, জাতীয় অধ্যাপক, ইউজিসি অধ্যাপক প্রভৃতি নামে কিছু পদ আছে, কিন্তু সেগুলোর বিতরণ ব্যবস্থা ও সদ্ব্যবহার কমই হয়ে থাকে। অন্য অনেক কিছুর মতো এটাও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাপনার ত্রুটি।

আপনার জন্মভূমি মুর্শিদাবাদে যান? 

ওয়াকিল আহমদ: মুর্শিদাবাদ আমার পিতৃভূমি ও জন্মভূমি। আমার বাল্য-শৈশব-শিক্ষাকাল সেখানে ও কলকাতায় কেটেছে। জন্মভূমির একটা অদৃশ্য অপ্রতিরোধ্য টান সবার থাকে, আমারও আছে। সেই টানে অতীতে বার কতক সেখানে গিয়েছি; এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ, যেতে পারি না। মনের আকুলতা মনেই লালন করি। মা-বাবা অনেক আগেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন; তবে আত্মীয়-স্বজন অনেক আছেন। তথ্যপ্রযুক্তির দৌলতে তাদের সাথে কথা হয়, দেখা হয় না।

'বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস' অনেকে বলেন। লোক-সংস্কৃতি গবেষণায় এর ভিত্তি কতটা? 

ওয়াকিল আহমদ: 'বাঙালির ইতিহাস' কি হাজার বছরের? নৃতাত্ত্বিক পরিচয় অনেক প্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক যুগেও এদেশে মানুষ বাস করতো, অধুনা নানা নৃগোষ্ঠির জনপদ যাদের পূর্বপুরুষ ছিল। ঐতিহাসিক যুগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির লোক এসে বসতি স্থাপন করে বাঙালির সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। কারা এসেছে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় "হেথায় আর্য হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন/ শক হুন দল, পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।" এরাও বাঙালির পূর্বপুরুষ, কারো না কারো দেহে এদের রক্ত মিশে আছে। সুতরাং 'বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস' বলি কেমনে? সম্ভবত বাংলাভাষার উদ্ভবকালের সঙ্গে যুক্ত করে তা বলা হয়। আমার প্রশ্ন বাঙালি জাতির উৎপত্তি কি 'বঙ্গভাষা', না 'বঙ্গদেশ' থেকে?

লোকসংস্কৃতি তো জাতির মর্মস্থল থেকে উঠে আসে। আমরা যাকে 'নগরসংস্কৃতি' বলি, তার উদ্ভব-বিকাশ বেশি দিন আগে নয়। কিন্তু জনজাতির জীবনরস মন্থনজাত লোকসংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। 

প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশে। কিন্তু জ্ঞান চর্চা, গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাচ্ছে?

ওয়াকিল আহমদ : দেশে মানুষের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে, ফলে শিক্ষার্থীরও অভাব হয় না। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ ছেয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন অনেক। মেধাবী ছাত্রছাত্রী আছে; তাদের 'আইকিউ' আগের তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু দুর্বল ও অপরিকল্পিত শিক্ষাপদ্ধতি, শিক্ষাদান ও শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আলোকিত মানুষ তৈরি হচ্ছে না। আমরা 'গার্মেন্টস শিল্প' নিয়ে মেতে আছি। শিল্পের যন্ত্রপাতিগুলি সব বিদেশ থেকে আনতে হয়। দেশ উন্নয়নের পথে হাটছে ঠিকই, কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজে যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, প্রকৌশলী সবই বিদেশ থেকে আনতে হয়। তারা পারে, আমরা পারি না কেন? এটা যে শিক্ষার ত্রুটির কারণেই ঘটছে, তাতে সন্দেহ নেই। কর্তাব্যক্তিরা বলেন, প্রতি জেলায় একটা করে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কিন্তু ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে কি লাভ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির নামে সংঘর্ষ চলে প্রায়। কয়দিন আগে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছিল ছাত্রলীগ। এইভাবে একাডেমিক পড়াশোনার আড়ালে ঝামেলা লেগেই থাকে ক্যাম্পাসে। ছাত্ররাজনীতির এই হাল কেন? 

ওয়াকিল আহমদ : শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন, স্কুল-কলেজেও ছাত্র-রাজনীতি আছে,যা মাঝে মাঝে ভয়ংকর রূপ ধারণ করে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। মারামারিতে রক্ত ঝরে, প্রাণও যায়। এ বিষয়ে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত আছি। ছাত্র রাজনীতি অন্যদেশেও আছে, কিন্তু বাংলাদেশের মতো এতো কুৎসিত আকার ধারণ করে না। এটা জাতির একটা প্রচণ্ড ব্যাধি ও কলঙ্ক। ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক ছাত্রভাষ্য- 'শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করলে ছাত্রলীগের 'চণ্ডীরূপ' দেখবে ছাত্রদল' 'এটা আর যারই ভাষ্য হোক, ছাত্রভাষ্য হতে পারে না। শিক্ষাপ্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র, সুধিসমাজ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব, কেননা দীর্ঘদিন ধরে এরূপ 'চণ্ডীরূপ' দেখে দেখে তাদের গা-সহা হয়ে গেছে। সমাধান একটাই- সবাই মিলে বুড়িগঙ্গায় ডুবে মরা।

সম্প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে তা ছাত্ররাজনীতি বা ভিসি কেন্দ্রিক। শিক্ষা গবেষণা নিয়ে আলোচনা নেই বললেই চলে। এই নিয়ে কী বলবেন?

ওয়াকিল আহমদ : একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শক্তি হচ্ছে শিক্ষার্থী। তাদের পরিচালনার জন্য যেসব প্রশাসক- ভিসি আসেন, তাদের অধিকাংশ অযোগ্য। উন্নতির নামে অবনতি তারাই ঘটান। সম্প্রতি যা ঘটছে তা একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য অশুভ দিক। দৃষ্টিভঙ্গি বদল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।  আর শিক্ষার্থীদেরও উচিৎ নিজেদের কাজ- শিক্ষা গবেষণায় মনোযোগ দেওয়া।

দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু মূল্যবোধের সঙ্গে বেঁচে থাকার সংকট চরম। শিক্ষা সংস্কৃতিতেও খরা চলছে। উত্তরণ কীভাবে? 

ওয়াকিল আহমদ : অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেটুকু হয়েছে, বন্টনব্যবস্থার ত্রুটির কারণে তা একটা শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ; বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এর সুফল থেকে বঞ্চিত। টেকসই উন্নয়ন তাকেই বলা হয়, যার সুফল সমভাবে সকলেই ভোগ করতে পারে। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, লোকের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে- একথা কর্তাব্যক্তিদের মুখে প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু কত শতাংশ লোকের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, তাতো বলা হয় না।

সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় হয়েছে, কেবল একটা তালিকা দেখলেই বোঝা যাবে। আজ দেশের সর্বত্র গুম, খুন, নারীধর্ষণ, ছিনতাই, হামলা, বিচার বহির্ভূত হত্যা, ঘুষ, চাঁদাবাজি, ব্যাংক লুট, মানি লংডারিং, ক্যাসিনো ও শেয়ারবাজার কাণ্ড, মাদকদ্রব্যের  ও সোনার চোরা কারবার, অবৈধ অর্থ ও নারী-শিশু পাচার, কিশোর গং-অপরাধ ইত্যাদি সমাজে কত কি ঘটছে, তার ইয়ত্তা নেই। মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত।

সংকট উত্তরণের সোজা রাস্তা নেই। মানুষ সামাজিক জীব;মানুষ জাগলে সমাজ জাগে। তাই আগে মানুষকে জাগতে হবে; তারপর সমাজ আপনি জাগবে। একটা জাগ্রত ও উন্নত সমাজে মেধার ও প্রতিভার জন্ম হয়। যে সমাজে মানুষের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মিনিমাম চাহিদার জোগান আছে, জীবনের নিরাপত্তা আছে, সুশিক্ষার ব্যবস্থা আছে, বাকস্বাধীনতা আছে, মুক্তচিন্তার সুযোগ আছে, সেই সমাজকেই জাগ্রত সমাজ বলা যায়। যা আমাদের নেই! 

সংস্কৃতি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে বছরের পর বছর। কীভাবে দেখেন ব্যাপারটাকে? 

ওয়াকিল আহমদ : বাঙালি সংস্কৃতি না মুসলিম সংস্কৃতি- তা নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদ বাতুলতা মাত্র। এ ধরনের চিন্তা-ভাবনাকে ধর্তব্যের মধ্যে না আনাই মঙ্গল।

আমাদের সাহিত্য কতটা এগিয়েছে? আধুনিক বাংলা সাহিত্যে স্বাতন্ত্র্য বিষয়ে আপনার মতামত কী? 

ওয়াকিল আহমদ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের বড়ই দুর্গতি; এগুনো তো দূরের কথা, দিনে দিনে পিছুনের দিকে যাচ্ছে। কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস পাঠযোগ্য কোন গ্রন্থের নাম বলা যায়? বিশ শতক পর্যন্ত হাতে-গোনা কতক কবি-সাহিত্যিকের নাম করা যেত। এখন সামনের সারিতে কে বা কারা আছেন? হতাশ হওয়ারই কথা। শুধু সাহিত্য কেন, সাংস্কৃতিক জগতের অন্য অনেক ক্ষেত্রেও তীব্র খরা চলছে। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলা সাহিত্যের স্বতন্ত্র ধারার চিন্তা অবান্তর।

আপনার একটা বই আছে 'শিকড় ও আত্মপরিচয়'। আমাদের 'রাজনীতিবিদরা' শিকড় ও আত্মপরিচয় নিয়ে কি ভাবেন? 

ওয়াকিল আহমদ: আমার সর্বশেষ গবেষণাগ্রন্থের নাম 'বাংলার মুসলমানের শিকড় ও আত্মপরিচয়'। উভয় বাংলায় বাঙালি মুসলমান কখন কিভাবে শূন্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠিতে পরিণত হয়,  নৃতত্ত্ব ও জাতিতত্ত্বের দিক থেকে কোন কোন জাতির রক্তধারা তাদের দেহে প্রবাহিত, বাংলার ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে তার একটি নির্ভরযোগ্য ও বৈজ্ঞানিক চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভাষাতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক 'আইডেন্টিটির' বিষয়টিও আংশিক হলেও আলোচিত হয়েছে। পাঠক পড়ে দেখতে পারে। আয়নার মতো নিজের মুখ দেখতে পাবেন।

 'রাজনীতিবিদরা' কি ভাবেন না ভাবেন, তা দেখার বিষয় আমার নয়, আমার লক্ষ্য হলো জনজাতির সত্য রূপটিকে প্রকাশ করা। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন। এইখান থেকে বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হয় বেকার। সবার কী উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন আছে? 

ওয়াকিল আহমদ : শিক্ষা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। শিক্ষার স্তরভেদ আছে। মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। সবার না, শুধু মেধাবীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে।

উনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা থেকে একুশ শতকে কতটা বদল হয়েছে? 

ওয়াকিল আহমদ : উনিশ শতক ছিল বিজ্ঞানের শিশুযুগ; প্রেস, ইস্টিম ইঞ্জিন, টেলিফোন ও ক্যামেরা আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এখন বিজ্ঞানের যৌবনকাল। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ঐসব ডাল-ভাত। বিশ্বের বস্তুগত সভ্যতা অনেক এগিয়েছে। পৃথিবীকে 'গ্লোবাল ভিলেজ' বলা হয়। অনেক কিছুই মানুষের হাতের মুঠোয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে মানুষ কি পাল্টিয়েছে। ইউক্রেইনের যুদ্ধ দেখে মনে হয়- হিটলারের যুগে পড়ে আছি। সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও মানুষের রক্ত ঝরছে, যা 'মধ্যযুগের বর্বরতা'কেও ছাড়িয়ে যায়।

আপনি অনেক বিষয় কাজ করেছেন। যেমন ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী গান, সারিগান, বাউল গান। বিচিত্র কাজের অনুপ্রেরণা কী ? 

ওয়াকিল আহমদ : অধ্যাপনার সাথে গবেষণার নিবিড় সম্পর্ক আছে। আমি ছাত্রদের পড়িয়েছি, আর নিজে জানার জন্য দেদার পড়েছি।  নিজে জানার এবং অর্জিত জ্ঞান অন্যকে জানানোর কৌতূহল নিয়েই আমি গবেষণাকর্মে নিয়োজিত হই। আমার গ্রন্থরচনার এটাই মৌলিক প্রেরণা, অন্যকিছু নয়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago