আজ অনাস্থা ভোটে নির্ধারণ হবে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্বের ভবিষ্যৎ

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের (টোরি দল নামে পরিচিত) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হতে যাচ্ছে।

এ ভোটে পরাজিত হলে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্বের অবসান ঘটবে।

আজ বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ জানা গেছে।

দলটির অন্যতম সংসদ সদস্য গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেন, তাকে যথেষ্ট পরিমাণ সংসদ সদস্য চিঠির মাধ্যমে এ ভোট আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছেন। দলটির মোট সংসদ সদস্যের ১৫ শতাংশ বা অন্তত ৫৪ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য এরকম অনুরোধ জানালে অনাস্থা ভোট আয়োজনের বাধ্যবাধকতা চলে আসে।

ব্র্যাডি বলেন, '১৫ শতাংশের নির্ধারিত সীমা পার হয়েছে।'

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ব্রিটেনের হাউজ অব কমন্স এ সশরীরে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়েছে।

হাউজ অব কমন্স এ রক্ষণশীল দলের ৩৫৯ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। যদি বরিস জনসন ভোটে হারেন, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্বের পাশাপাশি দলের নেতৃত্বও হারাবেন। আর যদি তিনি জেতেন, তাহলে আগামী ১ বছর তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না।

বরিস গত কয়েক মাস ধরে নৈতিকতা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কেলেঙ্কারির অভিযোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষত করোনাভাইরাস মহামারির লকডাউন চালু অবস্থায় সরকারী ভবনে আইন ভঙ্গকারী অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে তিনি বেশ বিতর্কিত হয়েছেন।

গত মাসের শেষের দিকে প্রকাশিত একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আইন ভঙ্গের সংস্কৃতি ও 'পার্টি' আয়োজনের বিস্তারিত উঠে এসেছে। অনেকে এ প্রতিবেদনটিকে 'পার্টিগেট' নামে অভিহিত করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা সু গ্রে তার প্রতিবেদনে ২০২০-২০২১ সালে ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মীদের মদ্যপান করে হইহুল্লা করার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেছেন। সে সময় যুক্তরাজ্যের সাধারণ জনগণ কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া তো দূরের কথা, এমন কী মৃত্যুপথযাত্রী স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও পাননি।

এ প্রসঙ্গে বরিস জনসন বলেন, তিনি মাথা নিচু করে এসব ঘটনার পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন, তবে এখন সময় এসেছে 'এগিয়ে যাওয়ার' এবং ব্রিটেনের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ও ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে মনোযোগ দেওয়ার।

তবে অনেক রক্ষণশীল নেতা মনে করেন, এক কালের ব্যক্তিত্ববান ও জনপ্রিয় নেতা বরিস ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিশাল জয় এনে দিলেও এ মুহূর্তে তিনি দলের জন্য বোঝা।

বিশ্লেষকদের ধারণা, বরিস জনসন সরে যেতে বাধ্য হলে রক্ষণশীল দলে নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা দেখা দেবে এবং সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এ পদের জন্য লড়তে পারেন।

রক্ষণশীল দলের সংসদ সদস্য ও বরিসের একজন কট্টর সমালোচক রজার গেইল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য আমাদের হাতে বেশ কয়েকজন ভালো বিকল্প আছেন।'

'তাদের যে কেউ এখন যিনি আছেন তার চেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে আমি মনে করি', যোগ করেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

7h ago