‘খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল না হলেও স্থিতিশীল নয়’

খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল না হলেও স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি এ তথ্য জানান।

শুক্রবার মধ্যরাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

ডা. জাহিদ বলেন, 'একজন ডাক্তার হিসেবে বলতে চাই খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল না হলেও স্থিতিশীল নয়। যেকোনো সময় যেকোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন। ৭২ ঘণ্টা সিসিইউতে অবজারভেশনে থাকবেন। তার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।'

তিনি বলেন, 'সকাল ১০টায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড বসবে। বোর্ডে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল, কিডনি সমস্যাও আছে। ডায়াবেটিস আছে। কার্ডিওলজি সিম্পটম দেখা দিলে রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক নিপীড়ন অসুস্থতার একটা বড় কারণ। এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ ছিল সুচিকিৎসা। দেশের ভেতরে তাকে যে নিপীড়ন করা হচ্ছে তাতে এখানে সুচিকিৎসা প্রায় অসম্ভব।'

'খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিলে সেখানে তার সুচিকিৎসা হতো এবং মানসিকভাবে তিনি সুস্থ থাকতেন। এই পরিস্থিতিতে কী ঘটবে আমরা জানি না। সরকারের কাছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানাই। এখনো দেশের বাইরে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাকে সে সুযোগ দেওয়া হলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করি। তিনি বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। সমাজে তার যে অবস্থান সে অনুযায়ী তার সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে,' তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

11h ago