জ্বালানি সাশ্রয়ে শ্রীলঙ্কায় সরকারি অফিস ৩ দিন ছুটি

শ্রীলঙ্কার এক পেট্রল পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন চালকরা
শ্রীলঙ্কার এক পেট্রল পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন চালকরা। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বের কিছু উন্নত দেশে কর্মীদের কর্মোদ্দীপনা ও স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানোর জন্য ৪ দিনের কর্মসপ্তাহ প্রচলনের সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন জ্বালানি ও খাদ্য সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ২ থেকে ৩ করা হচ্ছে।

আজ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটি ঘোষণা দেয়, সরকারি কর্মচারীরা পরবর্তী ৩ মাস শনি ও রবির পাশাপাশি শুক্রবারেও ছুটি পাবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের বেতনও কমবে না। সরকারের প্রত্যাশা, কর্মচারীরা বাড়তি সময়টুকু কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ বাসায় শস্যের আবাদ করবেন এবং খাদ্য সংকট থেকে উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন। 

সরকারি তথ্য বিভাগ গতকাল জানিয়েছে, 'আগামীতে যে খাদ্য সংকট দেখা দিতে যাচ্ছে, তার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য সরকারি কর্মীরা একটি কর্মদিবস ব্যয় করে নিজেদের বাসার পেছনে বা অন্য কোথাও কৃষিকাজের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন, এটাই উচিৎ বলে মনে হচ্ছে।'

তথ্য বিভাগ আরও জানায়, সপ্তাহে কর্মদিবসের সংখ্যা কমে যাওয়াতে কর্মচারীরা বিদ্যুৎ বিভ্রাট, পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা, জ্বালানি ও খাদ্য সঙ্কটের মত বিষয়গুলো থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন।

ধারণা করা হয়, শ্রীলঙ্কায় মোট ১০ লাখ সরকারি কর্মচারি আছেন। তবে 'অত্যাবশ্যক সেবার' সঙ্গে যুক্ত কর্মী, হাসপাতাল, বন্দর, জ্বালানি ও পানি খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এই বাড়তি ছুটি পাবেন না।

শ্রীলঙ্কা সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে এ মাসে একটি বেলআউট প্যাকেজের বিষয়ে আলোচনা করবে। সরকার চাইছে মানুষকে বিদেশে চাকরি নিতে উৎসাহিত করতে, যাতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ে।

যদি কোনো সরকারি কর্মচারী দেশের বাইরে চাকরি পান, তাহলে তাকে ৫ বছরের শর্তহীন ছুটি দেওয়া হবে।

সরকারের সমালোচকরা ৪ দিনের সপ্তাহে কতখানি ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের যুক্তি, বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী রাজধানী কলম্বো থেকে দূরে থাকে এবং তাদের অনেকেই গণপরিবহনের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে আসে। 

এছাড়াও, তাদের বেশিরভাগই তুলনামুলকভাবে দরিদ্র, এবং শস্যের আবাদ করার জন্য তাদের কাছে কোনো জমি নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago