এ ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল না, তাই বলবো না একেবারে যথাযথ প্রস্তুতি ছিল

anamur_rahman.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, এ ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল না বলে আমরা বলবো না একেবারে যথাযথ প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমরা ঝুঁকি কমানো এবং উদ্ধার কাজ করতে পেরেছি।

আজ রোববার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বন্যা কবলিত এলাকায় ঝুঁকি হ্রাসের চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, যে কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো হয়; জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে, সেটা কমিয়ে আনার জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে এবং এর অধীনে অনেকগুলো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে।

প্রশ্নের জাববে তিনি বলেন, এবার যে উচ্চতায় পানি এসেছে, বেড়ী বাঁধ দিয়ে এটাকে ঠেকানো যাবে না। কারণ এই উচ্চতায় যদি বেড়ী বাঁধ দেই তাহলে পানি প্লাবিত হতে পারবে না। পানি প্লাবিত না হলে আমাদের শস্য খেতগুলোতে পলি পড়বে না, জমির উর্বরতা বাড়বে না। বন্যার একটি উপকারিতা হলো প্রচুর পলি নিয়ে আসে যেগুলো বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদনে সহায়তা করে সেদিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তারপরও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন, তারা সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই বাস্তবায়িত হবে। 

৩ দিনে ২ হাজার ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে এত উচ্চতায় পানি এসেছে। প্রত্যেকটা বিষয়ে অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল না বলে আমরা বলবো না একেবারে যথাযথ প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আমরা ঝুঁকি কমানো এবং উদ্ধার কাজ করতে পেরেছি। বিশেষ করে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস সম্পৃক্ত হওয়ায় উদ্ধার কাজে স্বস্তি এসেছে এবং জনগণের মনেও সাহস জেগেছে, বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Healthcare reform begins, service yet to improve

The health administration initiated a series of reforms to improve medical care but struggled to implement them, say health experts

9h ago