বিলাইছড়ি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি জেএসএসের

রাঙামাটির বিলাইছড়িতে গুলি করে তিন ত্রিপুরা গ্রামবাসীকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের শাস্তি চেয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।

আজ রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেএসএস জানায়, বিলাইছড়িতে হত্যাকাণ্ড এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর শতাধিক পরিবার উচ্ছেদে জড়িত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগ জানায় জেএসএস।

গত ২১ জুন বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় তিন জনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় দুটি শিশুও গুলিবিদ্ধ হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহতথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড়থলির সাইজাম পাড়ার হত্যাকাণ্ডের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বড়থলি ও আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেয়। অন্যথায় সাইজাম পাড়ার মতো গুলি করে হত্যা এবং ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হবে। ভীতসন্ত্রস্ত তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা পাড়াবাসীরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া গত কয়েক মাস ধরে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খাবার লুট করছে।

'পরিতাপের বিষয় কেএনএফ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সাইজাম পাড়ার হত্যাকাণ্ডের দায় প্রকাশ্যে স্বীকার করলেও এবং ঘোষণা দিয়ে তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একের পর এক গ্রাম উচ্ছেদ করার পরও সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রহস্যজনকও,' জানায় জেএসএস।

তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণ এবং কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানায় জেএসএস।

কেএনএফকে যারা আশ্রয় দিচ্ছে তদন্ত করে তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

Now