মাংস সংরক্ষণে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণের পর দেখা দেয় নানান সমস্যা। অনেক সময় মাংস রাখার পরে ফ্রিজের দরজা লাগতে চায় না। আবার অনেক সময় ফ্রিজে রাখা মাংস থেকে রক্ত বের হয়ে পুরো রান্নাঘরের অবস্থাই খারাপ হয়ে যায়। 

এর ফলে বাসা নোংরা হবার পাশাপাশি মাংসের গুণগত মানও নষ্ট হতে পারে। তাই সঠিকভাবে মাংস সংরক্ষণের জন্য যে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করতে পারেন-

প্রথমত, আমরা যে ভুল করে ফেলি সেটা হলো, আমরা মাংস পলিব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে গোল গোল করে প্যাকেট করে ফ্রিজে রাখি। এতে করে জায়গা যেমন বেশি লাগে তেমনি ঠিক বোঝাও যায় না কোথায় কী আছে। 

এ ক্ষেত্রে মাংসগুলো পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে একদম চাপ দিয়ে সমান করে ফেলতে হবে। যেন একটা বইয়ের মতো আকৃতি হয়। এরপর একটার ওপরে আরেকটা প্যাকেট রেখে সংরক্ষণ করলে জায়গা যেমন বাঁচবে, তেমনি কোথায় কী আছে তা বুঝতে আর সমস্যা হবে না।

মাংস ফ্রিজে রাখার পরে অনেক সময় সেখান থেকে রক্ত বের হয় ফ্রিজে জমতে দেখা যায়। এর জন্য অবশ্যই চাইলে ডাবল পলিব্যাগ ব্যবহার করে মাংস সংরক্ষণ করুন। নয়তো এমন পলিব্যাগ ব্যবহার করুন যেগুলো পুরত্বের দিক থেকে কিছুটা মোটা।

অনেক সময় মাংস রেখে দেবার পর সেটা ফ্রিজ থেকে বের করতে অসুবিধা হয়। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন মাংস রাখার দুএক দিন পরেই সেগুলো কিছুটা নেড়েচেড়ে দিতে। তাহলে পরবর্তীতে মাংস আর ফ্রিজের গায়ে লেগে থাকবে না।

যদি ড্রয়ার সিস্টেমের ফ্রিজার হয় আপনার তাহলে একটা ড্রয়ারে ২টি পলিব্যাগ রাখার মতো জায়গা করবেন। এতে জায়গা নষ্ট হবে কম। 

মাংসে বিভিন্ন ধরনের হাড় যেমন, গরু কিংবা খাসির পায়া, গরুর মাথার মাংস ইত্যাদি বেশিদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা ঠিক নয়। ফ্রিজে দীর্ঘদিন এই সকল মাংস রাখলে মাংসের গুণগত মান ঠিক থাকে না। সেইসঙ্গে এসব মাংসের স্বাদ কমে যায়।
 

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago