চাকরি না ছাড়ায় স্ত্রীকে হত্যা, ৭ দিন পর স্বামী গ্রেপ্তার

নিহত সুমী আক্তার ও তার স্বামী রাসেল মোল্লা রূপক। ছবি: সংগৃহীত

চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য স্ত্রী সুমী আক্তারকে চাপ দিচ্ছিলেন রাসেল মোল্লা রূপক (২৮)। এ নিয়ে শুরু হয় ২ জনের কথা কাটাকাটি। রূপক সুমীকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে দা দিয়ে সুমীর গলায় আঘাত করেন তিনি। এতে মারা যান সুমী।

গত ২১ জুলাই মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সোলধারা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন রূপক। বুধবার গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডির কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

এর আগে বুধবার সকালে সিআইডির একটি দল ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মানিকগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মনির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিয়ের ৩ মাসের মাথায় স্ত্রীকে হত্যার ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুমীর বাবা মো. রহম আলী রূপককে আসামি করে মানিকগঞ্জের ঘিওর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।'

ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে।

রূপককে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, আসামি রূপকের সঙ্গে বিয়ের সময় কথা ছিল সুমী আক্তার বিয়ের পরও চাকরি করবেন। কিন্তু বিয়ের পর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের মত পাল্টে যায়। চাকরি ছাড়ার বিষয়টি ছাড়াও, সুমীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন।

সুমী শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে অফিসে কথা বলেছেন। অফিস তার বিকল্প হিসেবে দক্ষ কর্মী খুঁজছে। তাকে বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত চাকরি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

মুক্তা ধর আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রূপক মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে প্রায় ৯ বছর কাজ করেছেন। চলতি বছরের ১৫ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সুমী স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন শেষে আসামি রূপককে মানিকগঞ্জ সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া, আগামীকাল বৃস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

2h ago