অস্ট্রেলিয়ান ড্রোন জ্যামিং বন্দুক ব্যবহার করছে ইউক্রেন

অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত ড্রোন জ্যামিং বন্দুক। ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত ড্রোন জ্যামিং বন্দুক। ছবি : সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান 'ড্রোনশিল্ড' সামরিক সহায়তা চুক্তির অংশ হিসাবে ইউক্রেনকে ড্রোন জ্যামিং বন্দুক সরবরাহ করছে।

অস্ট্রেলিয়ান এভিয়েশন জানিয়েছে, ড্রোনশিল্ড একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তির অংশ হিসেবে তারা তাদের ড্রোন ইউক্রেনকে দিচ্ছে।

এটি ইউক্রেনের প্রতি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সামরিক সহায়তা চুক্তি থেকে আলাদা।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে উভয় পক্ষই শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত করতে, কামান হামলায় সহায়তা করতে, সেনা সদস্যদের গতিবিধি চিহ্নিত করতে এবং বিরোধী পক্ষের যোগাযোগে বাধার সৃষ্টি করতে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার আধুনিক যুদ্ধের রূপ বদলে দিয়েছে।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের মিত্ররা ইউক্রেনকে ড্রোন পাঠিয়েছে। তবে সেসব ড্রোনের ক্ষমতা সীমিত এবং এগুলো শুধুমাত্র ৪০ মিনিট ভেসে থাকতে পারে।

তাই ইউক্রেন আরও উন্নত ও দূরপাল্লার ড্রোনের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ড্রোন জ্যামিং বন্দুক সংগ্রহ করেছে। এটি রেডিও নিয়ন্ত্রণ এবং জিপিএস জ্যামিংয়ের প্রভাবের বাইরে থাকতে পারে। এছাড়াও এটি নেভিগেশনের জন্য স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে পারে।

ড্রোন জ্যামিং বন্দুক প্রযুক্তি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বৈমানিককে পাঠানো সংকেত বিঘ্নিত করে কাজ করে। এটি সৈন্যদের গতিবিধি নিরীক্ষণ করে। এমন কী, এটি শত্রুদের যোগাযোগকেও পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে।

ড্রোনশিল্ডের প্রধান নির্বাহী ওলেগ ভর্নিক বলেন, 'এই যুদ্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মনুষ্যবিহীন ড্রোনের ব্যবহার সারা পৃথিবীতে এখন আলোচনার বিষয়।'

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

 

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

2h ago