বিএনপি নয়, সরকারই চক্রান্ত করছে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

বিএনপি নয়, সরকারই চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ আহবান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'অন্যায়-অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা (সরকার) বলে যে, চক্রান্ত। চাক্রান্ত তো করেন আপনারা। বার বার বলেছি যে, কে চক্রান্ত করছে বলেন! আমরা চক্রান্ত করি না। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণের কাছে যাচ্ছি এবং তাদেরকে নিয়ে আমরা রাজপথে ফয়সালা করবো।'

তিনি বলেন, 'জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি একটি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে সমগ্র দেশের অর্থনীতির ওপর। এটা বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।'

ফখরুল আরও বলেন, 'আর সময় নেই। আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে, জেগে উঠে এদের (সরকার) পরাজিত করতে হবে। আসুন আমরা আজকে সেই লক্ষ্যে আরও দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলি। ছাত্রদলের এই সমাবেশ থেকে আমি আহ্বান জানাতে চাই সব ছাত্রদের, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে, আপনারা ঐক্য গড়ে তুলুন। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাতে চাই, আসুন আজকে জাতির প্রয়োজনে, আমাদের ভবিষ্যতে প্রজন্মের প্রয়োজনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ, অগণতান্ত্রিক, দানবীয়, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের পার্লামেন্ট ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।'

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, 'এই জ্বালানি তেলে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয়, পরিবহন ভাড়া। একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল-ডাল-আটা-তেল আবার দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মধ্যে থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের সাধারণ মানুষ; যারা দিন আনে-দিন খায়। এভাবে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে, গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আজকে সকালেই দেখলাম, কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা।'

'এই যে মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে, মানুষ এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আজকে আমরা অন্যায়-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার, এই সরকার আজকে সবচেয়ে ভয়াবহ দানবে পরিণত হয়েছে। তারা আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনগুলোকে কেড়ে নিচ্ছে। সে জন্যই এদের ক্ষমতায় থেকে সরিয়ে দেওয়া—এটাই হচ্ছে একমাত্র দেশপ্রেমিকের কাজ,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'সরকার আইএমএফের (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং ফান্ড) ঋণ চেয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। কারণ তারা এতো মিথ্যাচার করে এসেছে যে, রিজার্ভে এত টাকা আছে, এত ডলার জমা আছে তাদের, কোনো চিন্তা কারণ নেই। আজকে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবির কাছে ডলার ঋণ চেয়েছে। আইএমএফের ডলার ঋণের শর্ত খুব শক্ত। তারা বলেছে যে, কোথাও কোনো অধিক ব্যয় করা যাবে না…তারা বলেছে, আজকে যেসব খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে সেই ভুর্তকিগুলো প্রত্যাহার করা হোক।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago