‘সৌর সেচ পাম্প চালু করলে ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় হবে’

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘সৌর সেচ পাম্প চালু করলে ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় হবে’।
তৌফিক
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, 'সৌর সেচ পাম্প চালু করলে ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় হবে'।

দেশে বৈচিত্র্যময় জ্বালানি খাত গড়ে তোলার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানের জন্য সৃজনশীল সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।'

মঙ্গলবার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের  আয়োজিত 'বৈচিত্র্যময় শক্তি, সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ' শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা সেচ পাম্পে ডিজেলের পরিবর্তে সৌর শক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, 'আমরা যদি সৌর সেচ পাম্প চালু করতে পারি, তবে এটি অর্ধ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল সাশ্রয় করতে পারে।'

সরকারের গ্যাস আমদানি নীতির পক্ষে ড. চৌধুরী বলেন, এটি বহুমুখী জ্বালানি-মিশ্রণ নীতির অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'এটা ঠিক নয় যে দেশে গত ৫-১০ বছরে কোনো খনন হয়নি। বরং, গত পাঁচ বছরে ৩৫টি কূপ খনন করা হয়েছে, যার মানে বছরে গড়ে সাতটি কূপ খনন করা হয়েছে।'

সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের সচিব মো. (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।

নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট একটি বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমরা আজ অবধি চুক্তির সুবিধা পেয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি খাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার সাহস দেখিয়ে তার (বঙ্গবন্ধুর) পথ অনুসরণ করতে হবে।

তিনি সবাইকে ঐক্য ও ধৈর্যের মাধ্যমে জ্বালানি খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান।

বেগম ওয়াসেকা আয়েশা খানম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমস্যা সমাধানে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও মৌলিক গবেষণা কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

অন্যদিকে হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার পরিবহন খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার উৎসাহিত করতে বৈদ্যুতিক যানবাহন নীতি প্রণয়ন করেছে। 'নবায়নযোগ্য বিকল্প হিসেবে অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মডুলার পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথাও ভাবা হচ্ছে।

নাজমুল আহসান বলেন, পেট্রোবাংলা আগামী কয়েক বছরে ৪৬টি কূপ খননের একটি পদক্ষেপ শুরু করেছে, 'যার ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে'।

এবিএম আজাদ বলেন, বিপিসি একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যা গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রামের জ্বালানি শোধনাগারে পেট্রোলিয়াম পরিবহনে বছরে ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।

Comments