হাইকোর্টে প্রতিবেদন

সুইস ব্যাংকের কাছে ৬৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয়েছে

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার বিষয়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউর কাছে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ।

আজ রোববার আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আদালতে দুটি পৃথক প্রতিবেদন জমা দেয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক প্রতিবেদন দুটি জমা দেন। তিনি আদালতকে জানান, অভিযোগ উঠেছে ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডে অর্থ জমা রেখেছে। বাংলাদেশ তাদের তথ্য জানতে চেয়েছে। তবে এফআইইউ জানিয়েছে, তাদের কাছে শুধুমাত্র একজনের তথ্য রয়েছে।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এফআইইউর কাছে দুদকের পক্ষ থেকে ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২১ সালে তথ্য চেয়েছিল বিএফআইইউ কিন্তু তারা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন যে, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ সরকার ও দুদকের দেওয়া বক্তব্য পরস্পরবিরোধী।

খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, সুইস রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বক্তব্য সঠিক না। এ সময় তিনি ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার অনুরোধ জানান।

গত ১১ আগস্ট বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ জানতে চেয়েছিলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে দেশটির সরকারের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে কি না?

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রকে আজ এ তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে ১০ আগস্ট ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসাসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখার বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বাংলাদেশ সরকার কোনো তথ্য চায়‌নি।

একেএম আমিন উদ্দিন ও খুরশীদ আলম খানকে আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Riyad-led gang forcibly took cheques of Tk 5cr from another ex-AL MP

The cheques police recovered from the house of Riyad worth around Tk 2.25 crore belonged to former AL lawmaker Abul Kalam Azad

20m ago