প্রাইভেটকারে গার্ডার: দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের

এক্সকেভেটর দিয়ে ভায়াডাক্টটি সরানো হচ্ছে। ছবি: তুহিন শুভ্র অধিকারী

উত্তরা বিআরটি প্রকল্পের নির্মানাধীন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার উত্তোলনকালে ক্রেন উল্টে চলমান প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, 'গতকাল সোমবার দুর্ঘটনায় ক্রেন পরিচালনা ও কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণে অবহেলা ছিল। ব্যস্ত সড়কে এ ধরনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকতে হয়, যা ওখানে ছিল না। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান দিয়ে যানবাহন চলছিল। তাই এটাকে আমরা অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা বলছি, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।'

নেতারা আরও বলেন, 'আমাদের দেশে অধিকাংশ সরকারি প্রকল্প নির্ধারিত মেয়াদকালে শেষ হয় না। অধিক মুনাফার লোভে ঠিকাদার বা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বারবার কাজের মেয়াদ ও বাজেট বৃদ্ধি করে। এতে রাষ্ট্রের যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, তেমনি জনভোগান্তিও বাড়ে। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন। আবার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে বিভিন্ন নির্মাণাধীন অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়ার মতো দুর্ঘটনাও মাঝে-মধ্যেই ঘটছে। যেহেতু দেশে কোনো দুর্ঘটনার জন্যই দোষীদের শাস্তি হয় না এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে আদালতের নির্দেশনা আইনি মার-প্যাচে আটকে যায়, সেহেতু এই ধরনের অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটেই চলেছে। এটা দেশে আইনের শাসনের পুরোপুরি ব্যত্যয়।' 

উত্তরার দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদেরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবির পাশাপাশি দেশের সব ধরনের নির্মাণকাজ সঠিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
 

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago