কড়াইল বস্তিতে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭  

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলআমিন (৩৪) নামের এক মুদি দোকানদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলআমিন (৩৪) নামের এক মুদি দোকানদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে কড়াইল বস্তির নূরানী মসজিদের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আলআমিনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। আহতরা হলেন—আমজাদ হোসেন (৩৫), কলেজশিক্ষার্থী মাসুদ আলম (১৮), নুর আলম (৩০) ও জলি আক্তার (৪০), সুমি বেগম (৩৫), নাসির হোসেন (৪০), ডালিয়া বেগম (৪০)।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, 'কড়াইল বস্তিতে কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনায় একজন মারা গেছেন। কয়েকজন আহত হয়েছেন।'

পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

 নিহত ও আহতদের পদ বা রাজনৈতিক পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে আলআমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. কায়েস মিয়া বলেন, 'কড়াইল বস্তিতে মুদি দোকানের ব্যবসা ছিল আলআমিনের। এশার নামাজ পড়তে নূরানী মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে কে বা কারা তাকেসহ আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। খবর পেয়ে আলআমিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক আলামিনকে মৃত ঘোষণা করেন।'

আহত মাসুদ আলম জানান, নূরানী মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গেলে সেখানে এলাকার যুবায়ের, নাসির, আলআমিন নামের আরেকজন, রিপন, জুয়েল, ফয়েজ, কামালসহ ১০-১২ জন আলআমিন ও অন্যদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালান।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া আলআমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।

Comments