পূর্বানুমতি নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের বিধান বাতিল: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

সরকারের অনুমতি ছাড়াই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১ নম্বর ধারার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর রিট আবেদন করেছিল। সেই রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দিলেন।

৪১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, 'কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।'

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ একটি রুল জারি করেন।

রুলে ওই আইনের ৪১ (১) ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তা বাতিল করা হবে না, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে রুলের বিবাদী করা হয়।

গতকাল এ রুলের শুনানি চলাকালে আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আইনের চোখে সব নাগরিক সমান। কিন্তু সরকারি চাকরি আইনের ওই ধারাটি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় রিটের বিরোধিতা করে বলেন, সংসদ এই আইন পাস করেছে এবং এর ৪১ (১) ধারায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ বিবেচনা করে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। পরে আজ এই রিট আবেদনের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago