কড়াইল বস্তিতে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৫ জন। ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আল আমিন (৩৪) নামের এক মুদি দোকানদার নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দেশি অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী (৫৫), মো. খাজা (৪৫), মো. আমজাদ (৩৩), মো. রাসেল (৩৫) ও মো. মাসুদ রানান।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই খুনের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় ২টি গ্রুপ বস্তিকেন্দ্রিক ৪০ হাজার ঘরের ভাড়া তোলা, চাঁদাবাজি, অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে আট থেকে দশ হাজার টাকা ভাড়া তোলা হয়। এ সবকিছুই বস্তির ২টি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর একটির নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ আলী ও নুরু এবং অন্যটির নেতৃত্ব দেন জসিম উদ্দিন রিপন ও জুয়েল সরকার।

তিনি জানান, কমিটিতে পদ পাওয়া নিয়ে এই ২ গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব চলছে। এর মধ্যে আলী-নুরু গ্রুপের রাজনৈতিক অভিভাবক আব্দুল কাদের খান ও রিপন-জুয়েল গ্রুপের অভিভাবক মফিজুর রহমান।

এদের মধ্যে আবদুল কাদের খান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং মফিজুর রহমান স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৩০ জুলাই কড়াইল বস্তির ১ নম্বর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আবদুল কাদের খানের অনুসারী মোহাম্মদ আলী ও নুর গ্রুপের লোকজন গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। অন্যদিকে, মফিজুর রহমানের অনুসারী জুয়েল ও রিপন গ্রুপের লোকজন কম গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। এ কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বস্তির এরশাদ মাঠ এবং নুরানি মসজিদ এলাকায় নুরু, কবির, আলীসহ কয়েকজনের সঙ্গে রিপন-জুয়েল-শুভদের মারামারির ঘটনায় আল আমিন নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago