ইভিএমে কারচুপি হয় এটা কথার কথা: নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা

খুলনায় দীঘলিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রাশিদা সুলতানা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কারচুপি হয়—এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেছেন, এটা কেবল কথার কথা।

আজ রোববার খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রাশিদা সুলতানা বলেন, 'আমরা সুন্দর একটা ইলেকশন করতে পারব- এটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই আমরা ইভিএমের সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেছি। যে কথাগুলো (অভিযোগ) আসছে এগুলো নিয়ে কেউ এ পর্যন্ত আমাদের সামনে কিন্তু আসে নাই। ধরিয়ে দেওয়া যে, এইভাবে কারচুপিটা হচ্ছে। এইটা কিন্তু কথার কথা। কেউ কিন্তু প্রমাণ আমাদের কাছে দেয় নাই।'

ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের আপত্তি সত্ত্বেও গত ২৩ আগস্ট আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনূর্ধ্ব ১৫০ আসনে ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।

ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সাংবাদিকসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করেছিল ইসি। ওই সংলাপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিও ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন কিংবা এটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রসঙ্গে রাশিদা সুলতানা বলেন, 'আপনারা শুনছেন যে ইভিএম আমরা সর্বোচ্চ ১৫০টা (আসনে) ইউজ করব। হয়তো ১৫০টা নাও হতে পারে। আমদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে। প্রক্রিওর করতে হবে। প্রক্রিওর যদি করতে না পারি, এক্সিসটিং যা আছে সেটার মধ্যেই হয়তো হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা কিন্তু মনে করছি এইরকম একটা পর্যায়ে (অনূর্ধ্ব ১৫০ আসন) করলে আসলে কোথায় কী মেকানিজমটা হচ্ছে, কেন এই (অভিযোগের) কথাগুলো আসতেছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে।'

আর নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিয়ে এই নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, 'কোনো দল নির্বাচনে আসা-না-আসা তাদের ইচ্ছাধীন ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, আমরা কিন্তু চাই সব দিল মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক ইলেকশনটা হোক। এই চাওয়ার কমতি নাই।'

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

10h ago