মুন্সিগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়ে তালা দিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ভিডিও পোস্ট

মুন্সিগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়ে তালা দিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ভিডিও পোস্ট
মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে প্রবেশের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন গাজী সাগর। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে প্রবেশের মূল দরজায় তালা দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন গাজী সাগর। 

এ সংক্রান্ত এক মিনিটের একটি ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোডও করেছেন তিনি। এ ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওর ক্যাপশনে ছাত্রলীগ নেতা লিখেছেন, 'বিএনপি-জামাতের পান্ডাদের বলতে চাই, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি'র পার্টি অফিসে আজ শুধু তালা ঝুলাইলাম। শান্ত মুন্সিগঞ্জকে অশান্ত করার পায়তারা করবেন না। মুন্সিগঞ্জ এর মানুষ শান্তিপ্রিয়, তাদের শান্তিময় জীবনে অশান্তির মেঘ আনার চেষ্টা করলে পরিণাম খুবি ভয়াবহ হবে। সাবধান! রাজপথ কিন্তু ছাড়ি নাই! ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে…' 

 

এ ভিডিওটি তিনি গত ২৮ আগস্ট রাত ১১টা ১৯ মিনিটে আপলোড করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি সিঁড়ি দিয়ে তার সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে নতুন একটি তালা মূল দরজায় লাগিয়ে দেন।

জানতে চাইলে কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগস্টের শোকের মাসে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছিল। স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্র জেলাকে অশান্ত করার জন্য বিভিন্ন অপকর্ম করছে। তদের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তালা দিয়েছি।'

যোগাযোগ করলে মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির সদস্য সচিব মাহাবুব আলম স্বপন বলেন, 'জেলা বিএনপির কার্যালয়ের তালা দেওয়ার ঘটনায় আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করিনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তো কিছুই হয়না।' 

জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানা বলেন, 'এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে যার মতো রাজনীতি করবে এটাই স্বাভাবিক। এ ধরনের আচরণ অগণতান্ত্রিক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে কাম্য নয়। এসব মানুষজন কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করুক এটিও সমাজ চায় না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago