নেত্রকোণায় সিপিবির জনসভায় পুলিশ ও আ. লীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

নেত্রকোণায় সিপিবির সমাবেশে হামলায় আহত দুজনকে দূর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জনসভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। এ হামলায় সিপিবির অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সিপিবি নেত্রকোণা জেলা সভাপতি নলিনীকান্ত সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পূর্ব নির্ধারিত জনসভায় সিপিবি নেত্রকোণা জেলা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ চত্বরে হামলা চালায়। এসময় তারা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। হামলা প্রতিহত করে আবার জনসভা শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আবার হামলা করে।'

তিনি আরও বলেন, 'দ্বিতীয় হামলার সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তখন পুলিশও সিপিবির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলার ছবি তোলার সময় অনেকের মোবাইল ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।'

হামলায় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আহত হন। ছবি: সংগৃহীত

হামলায় সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও ডা. দিবালোক সিংহসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

আহত দুজনকে দূর্গাপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান নলিনীকান্ত সরকার।

তিনি আরও জানান, পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ২ দিন আগে সভার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।

তবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খাঁন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সমাবেশস্থলে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে সিপিবির কর্মীদের সংঘর্ষের কথা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য 'মৃদু' লাঠিচার্জ করে।

বর্তমানে এলাকার পরিস্থতি শান্ত আছে বলে জানান ওসি।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চন্দন বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এলাকার বাইরে আছি। কর্মীরা কিছু করেছে কি না, জানি না। এ বিষয়ে খবর নিয়ে জানাতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

8h ago