৮ রকমের ভিন্ন স্বাদে পেয়ারা

গ্রীষ্মকাল মানেই বাহারি ফলের সমাহার। এ সময় দেখা মেলে আম, জাম, লিচু, আনারস ও কাঁঠালের মত নানান রসালো ও মুখরোচক ফলের। যখন এই ফলগুলো গ্রীষ্মের শেষবেলায় আমাদের থেকে বিদায় নিতে থাকে তখনই সময়ের নেতৃত্ব দিতে চলে আসে পেয়ারা।
ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই বাহারি ফলের সমাহার। এ সময় দেখা মেলে আম, জাম, লিচু, আনারস ও কাঁঠালের মত নানান রসালো ও মুখরোচক ফলের। যখন এই ফলগুলো গ্রীষ্মের শেষবেলায় আমাদের থেকে বিদায় নিতে থাকে তখনই সময়ের নেতৃত্ব দিতে চলে আসে পেয়ারা।

পেয়ারা মূলত বিভিন্ন উপায়ে মজাদার করে খাওয়া যায়। তা নিয়েই এই আলোচনা:

১. কাঁচা পেয়ারার সালাদ

কাঁচা পেয়ারার সালাদ অসাধারণ একটি খাবার। টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদের এই সালাদ খেতে পারেন স্ন্যাকস কিংবা এই গরমে দুপুরের খাবার হিসেবেও। পেয়ারাকে চিকন করে কেটে সঙ্গে গাজর কুঁচি, পেয়াজ কুঁচি ও লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার কাঁচা পেয়ারার সালাদ।

২. পপ স্লাইস

এই গরমে পপ স্লাইস পেয়ারা হতে পারে অসাধারণ প্রশান্তির। কিছুটা নরম পেয়ারা ব্লেন্ড করে ছেঁকে আঁশ ও পাল্প আলাদা করে নিতে হবে। পেয়ারার রস পপ স্লাইস মোল্ডে করে ফ্রিজে রাখতে হবে। মজাদার পপ স্লাইস তৈরি হয়ে গেলে এবার উপভোগ করুন।

৩. চাটনি

বাঙ্গালী হয়ে চাটনি পছন্দ করে না এমন টা কি হয়! যদিও অনেকই পুদিনা আর ধনে পাতার চাটনি পছন্দ করেন তবে পেয়ারার চাটনি বানাও খুব সহজ। কয়েকটি উপাদান যেমন পেয়ারা, কাঁচামরিচ, মরিচের গুড়া, ধনেপাতা ব্লেন্ড করে নিলেই হয়ে যাবে পেয়ারার চাটনি। কাবাব, সমুচা বা চিপসের সঙ্গে এই চাটনি অনেক বেশ ভালো লাগে।

৪. জ্যাম ও জেলি

ফলের জুস দিয়ে ঘরে তৈরি করা জ্যাম ও জেলি সারাবিশ্বেই চর্চা করা হয়। কেননা বাসায় বানানো জ্যাম জেলির কোনো তুলনা নেই। পেয়ারার জ্যাম বানানো সহজ। কেননা পেয়ারার মধ্যে থাকে প্রোটিন ও চিনি। যা জ্যাম জেলির জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। স্যান্ডউইচ থেকে শুরু করে পাউরুটি সব কিছুই খাওয়া যাবে এই জেলি দিয়েই।

৫. কেক ও নানা রকম পেস্ট্রি

এর জন্য লাগবে ঘরে বানানো পেয়ারার জ্যাম। ফ্রেশ ভ্যানিলা কেকের সঙ্গে পেয়ারার জ্যাম, সঙ্গে হুইপড ক্রিম টপিং। স্ন্যাকস হিসেবে চায়ের সঙ্গে কিংবা দাওয়াতে খাবার শেষে ডেজার্ট হিসেবে এর জুড়ি নেই।

৬. ঝাল-মিষ্টি বার-বি-কিউ সস

টক ঝাল মিষ্টি স্বাদের বার-বি-কিউ সস কার না পছন্দ? ফলের বার-বি-কিউ সস এখন অনেকটা পরিচিত খাবার। প্রায় সব বার-বি-কিউ সসেই আম ও পিচ ফল থাকেই। সেই সঙ্গে পেয়ারার ফ্লেভারও এই সসে ভালো সংযোজন করে।

৭. পেয়ারার জুস ও স্মুথি

এই গরমে প্রশান্তির জন্য পেয়ারার জুসই যথেষ্ট। এই জুস বানানোও অনেক সহজ। পাকা পেয়ারার সঙ্গে আরও কিছু পাকা ফল মিশিয়ে সকালের নাস্তা কিংবা বিকালের স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন পেয়ারা স্মুথি।

৮. সাধারণ পেয়ারা

সবচেয়ে সহজ ও মজাদার হলো শুধু পেয়ারা কেটে খাওয়া। কোনো মশলা নয়, শুধু মিষ্টি পেয়ারা কেটে খেতেও অসাধারণ। যদিও কিছুটা মরিচ ভাজা ও চাট মশলার সঙ্গে পেয়ারা খেতে দুর্দান্ত লাগে।

পেয়ারা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার। এটি কেবল আমাদের শরীরের জন্যই না আমাদের পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্যেও ভালো।

অনুবাদক করেছেন আরউইন আহমেদ মিতু

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago