৮ দিনে নাফ নদী থেকে অজ্ঞাত ৪ মরদেহ উদ্ধার

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গত আট দিনে কক্সবাজারের নাফ নদী থেকে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আজ মঙ্গলবার নাফ নদী থেকে অজ্ঞাতনামা ২ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। মরদেহগুলো নাফ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজন পুলিশকে জানায়।' 

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

ওসি বলেন, '৮ দিনের মধ্যে নাফ নদীর  পৃথক পৃথক স্থান থেকে এ নিয়ে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের কারোরই পরিচয় জানা যায়নি।' 

তিনি জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় টেকনাফ পৌর এলাকার নাফনদীর শাখা কায়ুকখালী খালের সেতুর নিচ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। 

এর এক দিন পর, ২১ সেপ্টেম্বর, পৌরসভা এলাকার  নাইক্ষ্যংপাড়ার নাফনদীর মোহনা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। 

মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, 'মরদেহগুলো কিছুটা ফুঁলে গেছে এবং অর্ধগলিত প্রায়। তবে পরিষ্কার কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে।' 

মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।'

জানতে চাইলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরপর ৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া যায় যে, মরদেহগুলো রোহিঙ্গা নাগরিকদের হতে পারে। টেকনাফ অথবা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হলে এতদিনে পরিচয় জানা যেত।'

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago