রাবার শিল্পের লিজ বাতিল ও ভূমি ফেরতের দাবিতে ম্রো-ত্রিপুরাদের বিক্ষোভ

বিকাল ৪টায় নগরীর ডিসি হিল থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চেরাগি পাহাড় মোড়ে এসে শেষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লিজ বাতিল এবং ম্রো-ত্রিপুরাদের ৪০০ একর ভূমি ফেরত দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় নগরীর ডিসি হিল থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি চেরাগি পাহাড় মোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এডভোকেট ভূলন ভৌমিক সভাপতিত্বে ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম নগর সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সমন্বয়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস, নিপীড়ন বিরোধী আইনজীবী মঞ্চের যুগ্ম আহব্বায়ক বিষুময় দেব, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্য সচিব এডভোকেট আমির আব্বাস, লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রংধজন ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদ চট্টগ্রামের প্রতিনিধি পরেশ ত্রিপুরা বক্তব্য দেন।

ভূলন ভৌমিক বলেন, 'আপনার এলাকায় রোহিঙ্গা বৃদ্ধি হলে আপনাদের সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার ভয়ে যেমন গা জ্বলে, ঠিক তেমনি পাহাড়িদের জায়গা অন্যরা নিলে পাহাড়িদের গা জ্বলবে এটাই স্বাভাবিক।'

ছবি: সংগৃহীত

'দেশে আর জনগণের কোনো কর্তৃত্ব নেই। আমলা, সামরিক, বেসামরিক, ব্যবসায়ীসহ মাফিয়াদের চক্র দিয়ে দেশ চলছে', যোগ করেন তিনি।

লামা সরই ভূমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রংধজন ত্রিপুরা বলেন, 'পুলিশ বাহিনীর সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা। সেই পুলিশ বাহিনী আজ ভূমিদস্যুদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছে। নিজের বাস্তুভিটা বাঁচাতে আমরা দীর্ঘ ৬ মাস ধরে রাজপথে আছি। নিজের বাস্তুভিটা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ৪টি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তথা ভূমিদস্যুদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদেরও পরিবার-সমাজ আছে, আমাদের মতো পরিস্থিতির শিকার হলে আপনারাও অসহায় হতেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ৪০০ একর জুম ভূমি রক্ষা দাবি আদায় হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।' 

বক্তারা গত ৬ সেপ্টেম্বর কলাইয়া ঝিড়িতে পানিতে বিষ প্রয়োগ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর কলাগাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। 

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago