আফ্রিকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থ ঢালছে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি, সুদান ও অন্যান্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থ যোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগকে ‘রুশ-বিরোধী ক্রোধ’ হিসেবে উল্লেখ করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। ছবি: রয়টার্স

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি, সুদান ও অন্যান্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থ যোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। একে 'রুশ-বিরোধী ক্রোধ' হিসেবে উল্লেখ করে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রুশ আধাসামরিক সংস্থা ওয়াগনার গ্রুপ আফ্রিকার কয়েকটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করছে এবং সেখান থেকে অন্যায়ভাবে অর্জিত অর্থ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধের অর্থায়নে ব্যবহৃত হয়।

আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ পাচারের মাধ্যমে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অর্থায়নের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি আরও বলেন, 'সমগ্র আফ্রিকার মানুষ ওয়াগনার গ্রুপের শোষণমূলক অনুশীলন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চড়া মূল্য দিচ্ছে।'

এ সময় জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, 'আফ্রিকান অংশীদারদের প্রতি রুশ সমর্থনের' বিষয়টির এমন উপস্থাপনে তিনি দু:খিত।  

'এটি তাদের আসল পরিকল্পনা ও লক্ষ্যকেই প্রকাশ করে। তাদের আসলে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে কী প্রয়োজন, তা প্রকাশ করে', যোগ করেন তিনি।

রুশ সশস্ত্র বাহিনীর অভিজ্ঞ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ওয়াগনার লিবিয়া, সিরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, মালি ও  অন্যান্য দেশে যুদ্ধ করেছে। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করার পর এবং ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়াপন্থীদের সমর্থন শুরু করার পরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

Comments