ক্রিমিয়া সেতু মেরামতের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে: রাশিয়া

ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর হেলিকপ্টার থেকে পানি ঢেলে আগুন নেভানো হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পর হেলিকপ্টার থেকে পানি ঢেলে আগুন নেভানো হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার সড়ক সংযোগকারী সেতুতে ট্রাক-বোমা হামলায় এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। আজ রাশিয়ার মন্ত্রীসভা এই সেতু মেরামতের জন্য ২০২৩ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।

আজ শুক্রবার ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এএফপির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।

সেতু বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে, ইউক্রেনের কোনো অংশেই পরাশক্তি রাশিয়া অপ্রতিরোধ্য নয়। এই হামলার প্রতিশোধে রাশিয়া প্রায় ৭ মাস পর আবারও ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বড় আকারের হামলা শুরু করেছে। ফলে অনেক বিশ্লেষক মত প্রকাশ করছেন, কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর ওপর হামলায় ঘুরে গেছে যুদ্ধের মোড়।

রুশ প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের সাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে 'ক্রিমিয়া সেতুর পরিবহণ ও প্রকৌশল ভিত্তিক অবকাঠামোর ধ্বংস হওয়া অংশটির মেরামত ও সংস্কারের কাজ' ২০২৩ সালের ১ জুলাইর মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরাসরি হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিতে থাকেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দাবি, এটি ইউক্রেনের 'সন্ত্রাসী হামলা'।

হামলার আগে ক্রিমিয়া সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে। ফাইল ছবি:রয়টার্স (৯ অক্টোবর, ২০২২)
হামলার আগে ক্রিমিয়া সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে। ফাইল ছবি:রয়টার্স (৯ অক্টোবর, ২০২২)

রাশিয়ার গৌরব ও উন্নত প্রকৌশলবিদ্যার উজ্জ্বল নিদর্শন এই সেতুটি কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র ক্রিমিয়া নয় বরং ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ বাহিনীর জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার একমাত্র পথ।

সেতুটি সার্বিকভাবে চলমান যুদ্ধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ কারণেই কিয়েভের যুদ্ধ পরিকল্পনায় এই হামলা স্থান পায়।

ইতোমধ্যে এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার ৫ রুশ ও ৩ ইউক্রেনীয় ও আর্মেনীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রুশ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি জানায়, বিস্ফোরক উপকরণগুলো প্লাস্টিকের ফিল্ম রোলে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এগুলো আগস্টে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছেড়ে যায় এবং বুলগেরিয়া, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়া হয়ে রাশিয়ায় পৌঁছায়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago