বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে এবার পিবিআই পুলিশ সুপারের মামলা

বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ও বিদেশে 'পলাতক' সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পেনাল কোডের ধারায় করা মামলায় বাবুল আক্তারসহ তার ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। 

সোমবার খুলশী থানায় এ মামলা করা হয়েছে বলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছি।'

এর আগে বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি মামলা করেছিলেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআই পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার করা মামলার মামলার এজাহারে বলা হয়, 'আসামিরা অজ্ঞাত এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য সম্বলিত ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও তৈরি করে ও ইউটিউবে সম্প্রচার করে। ভিডিওতে প্রকাশিত সব বিষয় মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক। সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলার সঠিক তদন্তের কারণে আমার চরিত্র হনন করতে পুলিশ বিভাগে এবং জনসমক্ষে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ মিথ্যা মানহানিকর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।'

এতে আরও বলা হয়, 'গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি যে কারাগারে অবস্থানরত আসামি এবং তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা আসামি ইলিয়াস হোসেনের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম যেমন ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইন্টারনেট টিভিতে নামে বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে এই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।'

'আসামিরা ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ পুলিশকে ভারতীয় বাহিনী বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করে এবং জনসমক্ষে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রচার করে আমার মান হানি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ (২)/২৮(২)/২৯(১)/৩১(২)/৩৫ সহ পেনাল কোডের ২৯৫- ক/১২৪-ক/ ১২০-খ ধারার অপরাধ করেছে,' এজাহারে বলা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago