রাত থেকেই খুলনার সমাবেশ স্থলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবস্থান

খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিতে শুরু করেন গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা রাত থেকেই সমাবেশ স্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে সেখানেই ঘুমিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই দেখা যায়, খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর এলাকায় বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী চট, পাটি, সংবাদপত্র বিছিয়ে অবস্থান করছেন।

সরে জমিনে রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেখা যায়, অন্তত ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমাবেশ এলাকায় রয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন জানান, তারা রাতে ঘুমাবেন না, সতর্ক থাকবেন।

নেতা-কর্মীদের অনেকে চিড়া-মুড়ির মতো শুকনো খাবার ও পানিও নিয়ে এসেছেন। পরিবহনের মতো সমাবেশ স্থলের আশেপাশের খাবার হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই তারা শুকনো খাবার এনেছেন বলে জানান কয়েকজন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে গতকালই সমাবেশ এলাকায় পৌঁছে গেছেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে সমাবেশ স্থল ঘুরে দেখেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেখানে এখন মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। কাজের তদারকি করছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে গতকাল ও আজ ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট থাকায় দলটির নেতা-কর্মীরা বিকল্প পরিবহনে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতোমধ্যে খুলনা নগরীর ডাকবাংলা মোড়, ফেরিঘাট মোড়, খুলনা রেলস্টেশনের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন। রাতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সমাবেশ স্থলে থাকবেন। আমরা মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছি।'

রাতভর তারা নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত মিছিল করে কাটিয়ে দেবেন। তাদের জন্য তাঁবু টানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর এলাকায় অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেককে দেখা যায় চট, পাটি, সংবাদপত্র বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

আজ সকাল থেকে খুলনার রূপসা নদীতে পারাপার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম রূপসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা মাঝি সংঘ।

ইতোমধ্যে খুলনায় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলবেঁধে আসছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা গেছে

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের কেউ কেউ ট্রেনে করে খুলনায় এসেছেন। স্টেশনে নেমেই মিছিল করতে করতে বের হতে দেখা গেছে তাদের।

অপরদিকে, সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেককে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের অভিযোগ, 'বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই নগরজুড়ে পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারারাত পুলিশ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। আটক করা হয়েছে ৪৭ জনকে। শুক্রবারেও পুলিশ অনেককে আটক করে নিয়ে গেছে।'

যদিও দ্য ডেইলি স্টারের কাছে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া।

 

Comments

The Daily Star  | English

Rampal fouling 2 Sundarbans rivers

The Rampal power plant began operation in late 2022 without an effluent treatment plant and has since been discharging untreated waste into the Pasur and Maidara rivers next to the Sundarbans.

4h ago