ফরিদপুরে সাজেদা চৌধুরীর ছেলের বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের হত্যাচেষ্টা মামলা

৫ নভেম্বর ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনে শাহদাব আকবর ওরফে লাবু চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছবি: সংগৃহীত

হত্যাচেষ্টার অভিযোগে প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর ওরফে লাবু চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পৌর যুবলীগের সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকার।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুরের ৪ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. ফরিদউদ্দিনের এজলাসে মামলাটি করেন মেয়র।

তার অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারিক তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আদালত। আগামী ৯ নভেম্বর বাদী ও সাক্ষীদের বক্তব্য শোনার পর আদালত এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন ।

নগরকান্দা পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার মামলায় অভিযোগ করেন, সদ্য সমাপ্ত ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফারুক হোসেনের পরিবর্তে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে ভোট দিতে বলেছিলেন সাজেদাপুত্র শাহদাব আকবর চৌধুরী। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী হিসেবে ফারুক হোসেনের পক্ষেই থাকেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।

মামলায় মেয়র নিমাই সরকার আরও বলেন, শাহদাব আকবর চৌধুরীর নির্দেশে গত মঙ্গলবার দুপুরে পৌনে ৩টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নগরকান্দা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে মো. লিয়াকত মিয়া (৫৫), নাছির মাহমুদ (৪৬) ও মো. শহিদুল ফকির (৩২) নামে ৩ জন তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা চালান। তিনি দ্রুত সরে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নগরকান্দা সিআর ৩২৯/২২ ক্রমিকে রেকর্ড করেছেন এবং আগামী ৯ নভেম্বর বাদী এবং সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আদেশের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আগামী ৫ নভেম্বর ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে সাজেদাপুত্র শাহদাব আকবর ওরফে লাবু চৌধুরী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মামলার বিষয়ে সাজেদা চৌধুরীর সাবেক এপিএস মো. শফিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি হাস্যকর অভিযোগ। তাকে (নিমাই) কেন হত্যার হুমকি দেওয়া হবে? অভিযোগ করার একটি মাত্রা থাকা উচিত। আদালত জুডিশিয়াল তদন্ত করলেই এ অভিযোগের অন্তসারশূন্যতা বের হয়ে আসবে।'

এ ব্যাপারে জানতে শাহদাব আকবরের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। 

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago