বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ১৮৯৩ কোটি টাকা

সংসদে জানালেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
bipu.jpg
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ১ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এরমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে পাওনা সর্বোচ্চ ৯০৫ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা ৩৯৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থাগুলো নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিপুল অংকের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। তবে তদারকি জোরদার করে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।'

নসরুল হামিদ বলেন, 'গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ৬৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কাছে ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে পাওনা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।'

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায়ে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান নসরুল হামিদ। এরমধ্যে আছে, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) বছরভিত্তিক বকেয়া হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তদারকিকরণ, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক মাসিক সমন্বয় সভায় বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায় কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছে বকেয়া পাওনা আদায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠান, বকেয়া আদায়ে বিভাগীয় কমিশনারদের সহযোগিতা গ্রহণ, জেলা পর্যায়ে মাসিক সমন্বয় সভায় বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা, বিল খেলাপি গ্রাহকদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক তা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ।

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রিপেইড ও স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও সংসদে জানান নসরুল হামিদ।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, দেশের সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য 'বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি-২০১৯' হালনাগাদ করণের জন্য নিয়োজিত আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মতামত এবং পেট্রোবাংলার নিজস্ব পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ অফশোর মডেল পিএসসি-২০১৯ পরিমার্জনপূর্বক হালনাগাদ যুগোপযোগীকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অফশোর মডেল পিএসসি-২০১৯ হালনাগাদ করণের পরে নতুন বিডিং রাউন্ড আগামী বছরের প্রথম নাগাদ ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এক দেশের বেসরকারি এলপিজি আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া দেশের বাজারে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সাশ্রয়ী করার সুযোগ নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago