পুনরায় শস্য রপ্তানি চুক্তিতে ফিরল রাশিয়া

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা পুনরায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তিতে ফিরেছে। আজ বুধবার রাশিয়া এ কথা জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে কৃষ্ণ সাগরে শস্য চুক্তির অংশ এমন জাহাজসহ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো ইয়েনিকাপির তীরে বসফরাস প্রণালী অতিক্রমের জন্য অপেক্ষা করছে। ৩১ অক্টোবর, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা পুনরায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির চুক্তিতে ফিরেছে। আজ বুধবার রাশিয়া এ কথা জানিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কিয়েভের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পেয়েছে যে- ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য কৃষ্ণ সাগরের শস্য করিডোর ব্যবহার করবে না। তবে, কিয়েভ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ ফেডারেশন মনে করছে- এই মুহূর্তে পাওয়া নিশ্চয়তাগুলো যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে। তাই পুনরায় চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন- রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, তারা চুক্তিটি পুনরায় শুরু করবে।

এরদোয়ান বলেন, শস্য পরিবহন আজ ১২টা পর্যন্ত আগের মতোই চলবে।

৩ মাস আগে এই শস্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শস্য সরবরাহকারী দেশে ইউক্রেনের ওপর থেকে কার্যত রাশিয়ার অবরোধ তুলে নিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দূর করতে করা হয়। কিন্তু, চলতি সপ্তাহে রাশিয়া এই চুক্তি স্থগিতের কথা জানিয়েছিল। ফলে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

শনিবার রাশিয়া এই চুক্তি স্থগিত করে বলেছিল, তাদের বহরে হামলার পর কৃষ্ণ সাগর পাড়ি দেওয়া বেসামরিক জাহাজের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা তারা দিতে পারবে না মস্কো। পরে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করেছিল- বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহকে 'ব্ল্যাকমেল' করতে রাশিয়া এটিকে মিথ্যা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।

 

Comments