উত্তর কোরিয়ার আবারও ‘ব্যালিস্টিক’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, জাপানে সতর্কতা

উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র
দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশনে উত্তর কোরিয়ার ‘ব্যালিস্টিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দৃশ্য। ৩ নভেম্বর ২০২২। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া আবারও 'ব্যালিস্টিক'সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সতর্কতা দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে টোকিও সতর্কতা জারি করে বলেছিল যে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওপর দিয়ে যেতে পারে। পরে বলা হয়, এ তথ্য সঠিক ছিল না।

এতে আরও বলা হয়, আজ পিয়ংইয়ং যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এর মধ্যে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে। সম্ভবত তা ব্যর্থ হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে থাকতে পারে। এটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম।

ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে পড়েছিল।

ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার আধ ঘণ্টা পর জাপানের কোস্ট গার্ড গণমাধ্যমকে বলে, 'এটি ব্যর্থ হয়েছে।'

প্রতিবেদন অনুসারে গতকাল পিয়ংইয়ং ২০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এটি এক দিনে দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয় থেকে প্রথমে দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দাদের শক্ত ভবন বা ভূগর্ভস্থ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। সেসব অঞ্চলে বুলেট ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল।

কিশিদা বলেন, প্রথম যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল তা ব্যালিস্টিক হতে পারে। তিনি এর নিন্দা জানিয়ে বলেন যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষেপণাস্ত্রটির ধরন নিয়ে পর্যালোচনা করবে।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

তিনি বলেন, 'ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ফলে 'জে' ক্যাটাগরির সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু, পরে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওপর দিয়ে যায়নি।'

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

31m ago