নাটোরের গোপালপুর পৌর বিএনপি অফিসে পুলিশের তালা

মানচিত্রে নাটোর
মানচিত্রে নাটোর। স্টার ফাইল ফটো

নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে পরিত্যক্ত 'ককটেল ও পেট্রলবোমা' উদ্ধারের ঘটনায় বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে কার্যালয়টি বন্ধ করে দেয় লালপুর থানা পুলিশ। 'ককটেল ও পেট্রলবোমা' উদ্ধারের ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির অফিসটি খোলা ছিল, নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে, বিএনপির অফিস বন্ধ রাখতে হবে এমন কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তারা চাইলে তালা ভেঙে অফিস খুলতে পারেন এবং দলীয় কার্যক্রম চালাতে পারেন।'

লালুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ পাপ্পু বলেন, 'গত ১৫ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর বাজার বটতলা কয়েকজন কর্মী পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাদের কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। হামলা থেকে রক্ষা পেতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন। এরপর থেকে বিএনপি অফিস বন্ধ ছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'শনিবার রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগের ছেলেরা পুনরায় ভাঙচুর করে। পরে কার্যালয়ের সামনের সড়কের পাশের বটগাছের নিচে ময়লা–আবর্জনার মধ্যে একটি ব্যাগ কুড়িয়ে পাওয়া যায়। ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচস্টেপে মোড়ানো ৪টি ককটেলসদৃশ কৌটা ও পেট্রলভর্তি ২টি বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পৌর বিএনপির কার্যালয়টি তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ।'

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতেই স্থানীয় যুবলীগ কর্মী নেওয়াজ শরীফ বাদী হয়ে মারপিটের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এতে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশও বাদী হয়ে একই আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলা করেছে।'

নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, 'ছাত্রলীগের ছেলেরা বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে বিস্ফোরক ফেলে পুলিশ ডেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বিএনপি অফিসের সামনে থেকে খোলা জায়গায় বিস্ফোরক পাওয়া গেলে তার দায় নিশ্চয় বিএনপির নয়।'

তিনি অভিযোগ করেন, 'রাজশাহীর সমাবেশে গণজোয়ার ঠেকাতে আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ নোংরা খেলায় মেতেছে। কিন্তু, তাতে কোনো ফল হবে না।'

তবে, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব আলী ঝুলপু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি নিজেরা এসব ঘটনা ঘটিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। তারা এভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।'

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, 'এমন কোনো ঘটনার কথা আমি জানি না। আমি মনে করি, ছাত্রলীগ শান্তিপ্রিয় সংগঠন। তাই তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

2h ago