বগুড়ায় আ. লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কাহালু উপজেলার আলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে শনিবার রাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় কাহালু উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ওই ভাঙচুরের ঘটনার পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা এ মামলা করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রোববার কাহালু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-রতন চন্দ্র সরকার (৪৫) ও আবু তাহের মিন্টু (৫২)। তাদের মধ্যে রতন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। মিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, 'গত ১৮ তারিখ বিএনপির নেতাকর্মীরা আলোরা বাজারে একটি সমাবেশ করতে গেলে স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। পরে ১৯ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে প্রায় ২০০-৩০০ লোক আলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। তারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়।'

হামলাকারীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. সারওয়ার হোসেন কাজী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

এজাহারে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতার নাম আছে। তবে নামগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ।

তবে উপজেলা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এ মামলা দেওয়া হয়েছে।

কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান ফরিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগের লোকজন নিজেরাই এ ঘটনা ঘটিয়ে, বিএনপির নামে মামলা দিয়েছে, যেন ৩ নভেম্বর রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশে তারা অংশ না নিতে পারে। এই চক্রান্ত করছে তারা।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago