আ. লীগ নেতা বাবার অভিযোগে ফেনসিডিলসহ ছেলে আটক

দুই সহযোগীসহ মাহি মো. আল মামুনকে (মাঝে) আটক করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের ছেলে মাহি মো. আল মামুনকে ৭ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার ২ সহযোগীকেও আটক করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহি মো. আল মামুনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে মাহি শহরের মৌলভী পাড়ায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর এলাকায় তার বাবার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে গিয়ে টাকা দাবি করে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তার বাবার ব্যক্তিগত কর্মচারীকে মারধর করে কার্যালয়ে তালা দিয়ে আটকে রাখেন। সেখান থেকে তিনি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে গিয়ে সোনালী ব্যাংকের একটি গাড়িতে গুলি করে চলে যান।

এই ঘটনার খবর পেয়ে মুন্সেফপাড়ায় তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম মুঠোফোন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আল মামুন সরকার তার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। মাদকাসক্ত ছেলের হাত থেকে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং তাকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠাতে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সাত বোতল ফেনসিডিল এবং ২ সহযোগীসহ তাকে আটক করে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থ বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মাহি ও তার সহযোগীরা। ঘটনার পর মামলা করায় মাহির হুমকি-ধামকিতে ওই তরুণীর মা বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে আখাউড়া শহরের মসজিদপাড়া এলাকায় একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ মাহি এবং তার তিন সহযোগীকে ধরে থানায় দিয়েছিল স্থানীয় জনতা। সে সময় পুলিশ একটি ব্যক্তিগত গাড়িও জব্দ করে। পরে পুলিশ মাহিকে বাদ দিয়ে অন্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago