পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে আখাউড়া স্থলবন্দর

পাহাড়ি ঢলে পানির তোড়ে তলিয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। এছাড়াও প্লাবিত হয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরের কাছাকাছি ১৫টি গ্রাম।

পানির তোড়ে নির্মাণাধীন সেতুর পাশে গড়ে তোলা অস্থায়ী একটি বেইলি ব্রিজ ডুবে ও ভেঙে গিয়ে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দরসহ সংলগ্ন বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেব নগরসহ অন্তত ১৫টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। গাজীরবাজার সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশে সড়ক বিভাগ কর্তৃক গড়ে তোলা অস্থায়ী একটি বেইলি সেতু ভেঙে যাওয়ায় বুধবার সকাল থেকে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

অস্থায়ী একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে গিয়ে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ গেছে। ছবি: সংগৃহীত

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সকালে তীব্র বেগে ত্রিপুরা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ডুবে যায়। পুরো বন্দর এলাকা এখন পানিতে তলিয়ে গেছে।

এর আগে, গতকাল আখাউড়ার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।

ইউএনও গাজালা পারভীন রুহি জানান, এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। ভেঙে যাওয়া সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত এই সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না বলে জানালেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের একটি দল সেনাবাহিনী ও ইউএনওর সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

India launches strikes on Pakistan, Islamabad vows retaliation

Islamabad claims missiles hit civilians, vows retaliation; at least three killed; intense shelling reported at some points along Kashmir border; Trump says he hopes the fighting ‘ends very quickly’

1h ago