সরকারের বাধায় রাজশাহী গণসমাবেশের প্রচারণা বেড়েছে: বিএনপি

সমাবেশস্থল পরিদর্শনে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ছবি: স্টার

রাজশাহীতে বিএনপির নেতারা বলেছেন, পরিবহন ধর্মঘট করে এবং বাধা দিয়ে সরকার বিএনপির সমাবেশের প্রচারণা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এবং রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

এ সময় মিনু বলেন, 'পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে বিএনপির সমাবেশকে আন্তর্জাতিক সমাবেশে পরিণত করেছে সরকার। ৩ তারিখের মহাসমাবেশে বিএনপি কত বড় কামিয়াবি হবে সেটা শুধু দেশের মানুষ নয় গোটা বিশ্বের মানুষ দেখবে।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি মরণপণ আন্দোলন করছে এ দেশের মাটি ও মানুষকে বাঁচানোর জন্য।'

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে শহর জুড়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ।

এ প্রসঙ্গে মিনু বলেন, 'সবকিছুর ফয়সালা হবে রাজপথে, রাজপথের আন্দোলনে আমরা পরিবর্তন আনব।'

অন্যদিকে বিএনপির সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট প্রসঙ্গে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, 'পরিবহন মালিকরা সরকারকে খুশি করার জন্য এসব করছে। পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে কোথাও সমাবেশে বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি, বরং সমাবেশ ব্যাপক হয়েছে, জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।'

'কিন্তু রাজশাহীর সমস্যা হচ্ছে যে এখানে পুলিশ সরাসরি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'যেখানে ৯৫ ভাগ মানুষ এই সরকারের বিরুদ্ধে, সেখানে গুটিকয়েক পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য প্রশাসনের দুর্নাম হোক, সেটা আমরা চাই না। আমরা আহ্বান জানাই এখনো সময় আছে, যে সব পুলিশ কর্মকর্তা ত্রাসের সৃষ্টি করছেন, তারা এ কাজ থেকে বিরত হবেন এবং আমাদের সমাবেশ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সহায়তা করবেন।'

'সব বিভাগের ক্ষেত্রে সরকার শুধু পরিবহন ধর্মঘট দিয়েই ক্ষান্ত ছিল, কিন্তু রাজশাহী বিভাগের সমাবেশের সময় একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, সেটা হল গায়েবি মামলা,' যোগ করেন তিনি।

দুলু বলেন, 'ককটেল বিস্ফোরণ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের গায়েবি মামলা দিয়ে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে ফাঁসানো হয়েছে এবং অন্তত দেড় হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

'মামলাগুলো শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছে,' তিনি বলেন।

তিনি জানান, বুধবার রাতে বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে দুর-দুরান্ত থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়ি থামিয়ে, কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে অনেককে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ১ ডিসেম্বর থেকে তারা সমাবেশস্থল ব্যবহারের অনুমতি পেলেও, এখনো সেখানে কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে ৩ দিন আগে থেকে আসা কর্মীদের থাকা খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago